সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: পরকীয়া প্রেমের কারণে পারভীন আক্তার (২৫) নামে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে ঘাতক স্বামী আব্দুল খালেককে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) ভোরে সাতক্ষীরা সদরের লাবসা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রাম থেকে পুলিশ ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে।
ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী নিহতের স্বামী আব্দুল খালেককে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
নিহত পারভীন আক্তার (২৪) সাতক্ষীরা সদরের রাজনগর গ্রামের জামাইপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিম ওরফে বাবুর মেয়ে।
রফিকুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলাম জানান, তার বোন পারভীনের সঙ্গে হাজীপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে ইটভাটা শ্রমিক আব্দুল খালেকের আট বছর আগে বিয়ে হয়। ফারজানা নামে তাদের একটি মেয়ে আছে। তাদের বোন বর্তমানে সাত মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা।
অভাবের কারণে তিন বছর ধরে খালেক সস্ত্রীক রাজনগর জামাইপাড়ায় নদীর চরভরাটি জমিতে বসবাস করতো। সম্প্রতি সে একই এলাকার এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে খালেকের সঙ্গে পারভীনের বিরোধ চলে আসছিল। তারই জেরে বুধবার ভোরে পারভীনকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার শরীরে কাঁথা চাপা দিয়ে সে ঘরে তালা লাগিয়ে ইটভাটায় কাজ করতে যায়।
একই গ্রামের বাসিন্দা কলেজশিক্ষক মফিজুল ইসলাম, ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম ও রাজনগর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে খালেক তার স্ত্রীকে মারপিট করে। বুধবার সকালে তাদের মেয়ে ফারজানার কান্না শুনে তারা তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন। সেখানে পারভীনকে কাঁথা মোড়া অবস্থায় দেখতে পান। তার গলায় দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করার মতো দাগ দেখতে পান। এর পরপরই তারা ভাটপাড়া হাবিবুর রহমানের ইটভাটা থেকে খালেককে ধরে এনে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, বুধবার বেলা ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী আব্দুল খালেককে আটক করা হয়েছে।
