রাশেদ জামান: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বি এম কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে অন্যের বসতবাড়ি ও জমি রেকর্ড করে নেওয়ার অভিযোগ মানববন্ধন ।
আজ সোমবার দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে মুক্তিযোদ্ধা, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করেছেন। প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রাশাসকের কাছেও ভুক্তভোগীরা করেছেন আবেদন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, লোহাগড়া বাজার সংলগ্ন বিদুৎ সাবস্টেশনের পাশে ইকবাল হোসেন ভুইয়া, কামরুল ইসসলাম, রিজাউল করিম ও মোক্তার হোসেনের দখলিয় জমি রয়েছে। ইকবাল হোসেন ভুইয়া ও কামরুল ইসসলাম পাকা ভবন তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে বসবাসও করছেন। সেখান থেকে (৮৯ নম্বর লোহাগড়া মৌজার সাবেক ৩৭৭ নম্বর খতিয়ানের সাবেক ৮২২ ও ১৫২ দাগ নম্বরের) ১২ শতাংশ জমি বি এম কামাল হোসেন নিজের নামে সেটেলমেন্ট কার্যালয় থেকে রেকর্ড করে নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বি এম কামাল হোসেন মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমি ছিল। ওই খাস খতিয়ানের ২৬ শতাংশ জমি থেকে ১২ শতাংশ আমার নামে সেটেলমেন্ট কার্যালয় থেকে রেকর্ড করে নিয়েছি। ৩০ ধারায় মামলা করে নিয়েছিলাম। সরকারি জমি আমি দাবি করতেই পারি, চূড়ান্ত যাঁচাই -এ দেওয়া না দেওয়া সরকারের ব্যাপার।’
এ ব্যাপারে যশোর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার কামরুল আরিফ বলেন, ‘আমি যতদূর জানি ওই জমি ভিপি সম্পত্তি। ভাইস চেয়ারম্যান ও তাঁর প্রতিপক্ষরা উভয়েই আমার কাছে দরখাস্ত করেছেন। এর জন্য এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শুরু হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
