নিজস্ব প্রতিনিধিঃ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) যথাসময়ে উপস্থিত হতে না পারায় ভর্তি হতে না পারেনি নিপুন বিশ্বাস। নিপুন বিশ্বাসের বাড়ি নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নে। তার বাবা প্রেমানন্দ বিশ্বাস পেশায় একজন নরসুন্দর। তবে এখন এক আসন বাড়িয়ে তাকে ভর্তির সুযোগ করে দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. মেহেদী হাসান সই করা একটি নোটিশে এতথ্য জানানো হয়েছে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়, নিপুন বিশ্বাসের বিষয়টি উপাচার্যকে জানালে তিনি বিষয়টির মানবিক দিক বিবেচনায় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগে একটি আসন বাড়িয়ে তাকে ভর্তি নেওয়ার জন্য ডিনস কমিটিকে অনুরোধ করেন। উপাচার্যের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে একটি আসন বাড়িয়ে নিপুনকে ভর্তি করানোর বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেয় ডিনস কমিটি।
আরও পড়ুন>>>নড়াইলের লোহাগড়ায় ভোটের জের, ইরিধানে পানি দেওয়ায় বাড়ি ভাংচুর-লুটপাট
ভুক্তভোগী নিপুন বিশ্বাস বলেন, তার কোনো স্মার্টফোন নেই, যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকে নোটিশটি দেখতে পারেননি। এমনকি তার মোবাইলে (সাধারণ ফোন) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো কল বা মেসেজও যায়নি। মাঝরাতে তার এক বড় ভাই ফোন করে বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি জানান। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি আশপাশের লোকজন ও নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে ধার করে ২৩ হাজার টাকার ব্যবস্থা করেন।
এরপর নির্দিষ্ট সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছানোর জন্য ১৫ হাজার টাকায় একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করেন। কিন্তু যশোর থেকে নীলফামারীর দূরত্ব বেশি এবং রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছাতে দুপুর ১২টা ৮ মিনিট বেজে যায়।
তিনি যখন গাড়িতে ছিলেন তখন এক বড় ভাইকে ফোন করে বলেন, তার ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে দেরি হবে। ক্যাম্পাসের ওই বড় ভাই বিষয়টি ডিনকে জানান। নিপুন যখন ক্যাম্পাসে পৌঁছান তখন জানতে পারেন মেরিট লিস্টে তিনি প্রথমে থাকলেও তৃতীয় সিরিয়ালে থাকা এক শিক্ষার্থীকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। এরপর অনেক অনুনয়-বিনয় করেও ভর্তি হতে পারেননি নিপুন।
