সাপ্তািহক আগামীর কন্ঠের সম্পাদক আইউবের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও প্রতারণা মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোরঃ প্রতারনা অর্থ আত্মসাত ঘটনায় যশোর থেকে প্রকাশিত সাপ্তািহক আগামীর কন্ঠে পত্রিকার সম্পাদক এম আইউবের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
গত ২৪ মার্চ দায়ের করা মামলা নাম্বর-৫০৪/২১। পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাসিবুর রহমান শামীম মামলাটি করেছেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যূরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) কে দায়ীত্ব দিয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে আগামীর কন্ঠের সম্পাদক এম আইউব খুলনা কয়রা এলাকার আব্দুল করিম সানার ছেলে। বর্তমানে যশোরের সুজলপুর গ্রামের বাসিন্দা । এম আইউব তার পত্রিকা পরিচালনার জন্য ৫ বছরের চুক্তি করে বিরামপুরের হাজী লিয়াকত আলীর ছেলে হাসিবুর রহমান শামীমের সাথে।
তাকে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসাবে নিযুক্ত করে সকল নিয়োগসহ ক্ষমতা অপর্ণ করেন পত্রিকা প্রকাশনার জন্য। স্ট্যাম্পে ১৪টি শর্ত উল্লেখ করে চুক্তিপত্র সম্পন হয়। সেখানে এম আইউব প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা করে ঘর ভাড়া বাবদ দেয়াসহ দুটি কমপিউটার ও একটি টেলিভিশন চেয়ার টেবিল প্রদান করবেন মর্মে জানান।
কিন্তু অদ্যবধি কম্পিউটর,টেলিভিশন, চেয়ার টেবিল,ঘর ভাড়ার টাকা কিছুই দেননি তিনি। এছাড়া তিনি উল্টো ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও উপটৌকন নিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
প্রত্রিকা প্রকাশনা বাবদ এম আইউব প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হাসিবুর রহমান শামীমকে ৪ লাখ ৬৮ হাজ টাকর ক্ষতিতে ফেলেছেন। নিজে একাধিক শর্ত ভঙ্গ করে প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে দিনের পর দিন শামীমকে ঠকিয়ে এসেছেন ।
২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর থেকে তিনি শামীম কে ব্যাবহার করে তার প্রত্রিকা প্রকাশনা বাচিয়ে রেখেছেন। এখানেই শেষ নয় অর্থ আত্মসাত সহ নানা প্রতারনা করেই খ্যান্ত হননি এম আইউব। পাওনা টাকা ফেরৎ চাওয়ায় তিনি সম্প্রিতি তার এম আইউব ফেসবুক আই ডি থেকে স্টাটাস দিয়েছেন হাসিবুর রহমান শামীমের সাথে তার চুক্তি বাতিল হয়েছে। এছাড়া একটি অন লাইন পত্রিকাতেও তিনি ওই তথ্য প্রকাশ করেছেন। চুক্তিপত্রে চুক্তি বাতিলের কোন শর্ত না থাকলে ও তিনি চুক্তি বাতিল করেছেন মর্মে প্রচার করছেন যা আইন সিদ্ধি নয়।
ভারপ্রপ্ত সম্পাদককে দিয়ে ২টি কম্পিউটর, ১টি প্রিন্টার মেশিন,১টি এলিডি টেলিভিশন, ৩টি চেয়ার,১টি বড় অফিসও ২টি কম্পিউটর টেবিল, অফিস ডেকারেশন সহ সব মিলিয়ে অফিস বাবদ প্রায় ৩ লক্ষ টাকা খরচ করায়েছেন ।
স্ট্যাম্প চুক্তি মোতাবেক আগামী ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর পযর্ন্ত হাসিবুর রহমান শামীম ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসাবে পত্রিকায় প্রকাশনা চালাতে পারবেন। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাসিবুর রহমান শামীম মামলায় আরো জানিয়েছেন, এম আইউব তাকে ভুয়া সাংবাদিক, ভুয়া ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, চাদাবাজ ব্যাখ্যা দিয়ে জেল হাজত খাটাবে বলে অপরাধ জনক সড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী আগামীর কন্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাসিবুর রহমান শামীম জানিয়েছেন তিনি বাধ্য হয়েই মামলাটি করেছে। তার পাওনা টাকর জন্য ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এম আইউব কে উকিল নোঠিশ পাঠিয়ে ছিলেন। ওই সময় এম আইউব শারিরিক ভাবে অসুস্থ থাকায় টাকা পরিশোধের জন্য মৌখিক সময় নেয়, মানবিক চিন্তাকরে আইনগত দিকে এগাননি শামীম। কিন্তু শর্ত ভঙ্গ করে কোন প্রকার আলোচনা ছাড়াই এম আইউব তার চুক্তি বাতিল করেছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন।
শামীম আরো জানান, তার পাওনা টাকা পরিশোধ না করে এবং চুক্তির মেয়াদ শেষ না হলে চুক্তি বাতিল একবারে হাস্যকর। চুক্তি বাতিলের কোন শর্তই ছিলনা ওই চুক্তিপত্রে । তিনি এ ব্যাপারে আইনী লড়াই লড়ে যাবেন। আইউব এর আগেও তিনি আরো অনেক কে এভাবে প্রতারনার ফাদে ফেলেছেন। তিনি একজন মুখোশধারী অকৃতজ্ঞ প্রতারক বলে জানান শামীম। তার কঠোর শাস্তির দাবি করেন তিনি।