আই পিএলে গিয়ে বিপিএলের কথা মনে পড়লো ওয়ার্নারের
স্পোর্টস ডেস্ক: আইপিএল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আসর। তারকা খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ কিংবা মান-কোনো কিছুতেই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ধারেকাছে নেই আর কোনো টুর্নামেন্ট। তবে ওত বেশি জমজমাট না হলেও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) উপভোগ্য কম নয়।
বিদেশি ক্রিকেটাররা অনেকেই বিপিএলে খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। মঈন আলি, মোহাম্মদ আমিরের মতো তারকারা এই বিপিএলে পারফর্ম করেই জাতীয় দলে নিজের জায়গা ফিরে পেয়েছেন অতীতে।
বিদেশি ক্রিকেটাররা যে বিপিএলটা বেশ উপভোগ করেন, সেটি বোঝা গেল ডেভিড ওয়ার্নারের কথাতেও। গেছেন আইপিএলে খেলতে, সেখানে প্রসঙ্গক্রমে বিপিএলের কথা টেনে আনলেন অস্ট্রেলিয়ান এই তারকা ওপেনার।
গত বিপিএলে ওয়ার্নার খেলেছেন সিলেট সিক্সার্সের হয়ে। একই দলে ছিলেন নিকোলাস পুরানও। আইপিএলে তারা দুজন দুই দলে। ওয়ার্নার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়ক। নিকোলাস পুরান কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ব্যাটিং ভরসা।
বৃহস্পতিবার রাতে মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আর কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। পাঞ্জাবের সামনে জয়ের লক্ষ্য ছিল ২০২ রানের। এত বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একটা পর্যায়ে রীতিমত ধুঁকছিল দলটি। সেখান থেকে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ম্যাচে রোমাঞ্চ ফেরান পুরান। যদিও ৩৭ বলে ৭ ছক্কায় ৭৭ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি ক্যারিবীয় এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান, তবে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক ওয়ার্নারের প্রশংসা ঠিকই পেলেন।
পুরানের ব্যাটিং দেখে বিপিএলের কথা মনে পড়ে যায় ওয়ার্নারের। গত বিপিএলে সিলেটের হয়ে ১৬০ স্ট্রাইক রেটে পুরান করেছিলেন ৩৭৯ রান। দলের হয়ে নিয়মিতই ঝড় তুলেছেন তিনি। সেই স্মৃতি এখনও মনে তরতাজা ওয়ার্নারের।
বৃহস্পতিবার আইপিএলে পুরানের মারকাটারি ব্যাটিং বিপিএলের ঝড় মাথায় চলে এসেছিল হায়দরাবাদ অধিনায়কের। তিনি বলেন, ‘উপভোগ্য এক ম্যাচ ছিল। তবে চার ওভারের মতো বাকি থাকতে খানিকটা নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম, যখন পুরান বল মাঠের বাইরে আছড়ে ফেলছিল। বাংলাদেশে আমি তার সঙ্গে খেলেছি। সে যখন এভাবে ক্লিন হিট করা শুরু করে, তখন কঠিনভাবেই ভাবতে হয়।’