এটি সরকারের সর্বশেষ অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হিসেবে, যেখানে মূল লক্ষ্য হলো দেশীয় অর্থনৈতিক অবকাঠামোকে মজবুত করা এবং মানুষের জীবনযাত্রার ওপর প্রভাব কমানো। এনবিআরের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চিকিৎসা সেবা, মোবাইল ফোন সেবা, রেস্টুরেন্ট সেবা, গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ সেবা, তৈরি পোশাক এবং আইএসপি সেবার উপর বাড়ানো ভ্যাটের হার প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওষুধ শিল্পের ওপর যে ভ্যাট বৃদ্ধি করা হয়েছিল তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে, সাধারণ মানুষ এখন আগের মতোই সাশ্রয়ী মূল্যে ওষুধ কিনতে পারবেন। এর ফলে ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি পাবে না, এবং শিল্পটির বিকাশও অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া, ডিজিটাল সেবায় আরও উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে, মোবাইল ফোনের সিম ও রিম কার্ড সেবার ওপর বাড়ানো সম্পূরক শুল্ক এবং আইএসপি সেবার ওপর আরোপিত নতুন শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে ডিজিটাল সেবায় খরচ বাড়বে না এবং তরুণ প্রজন্মের প্রযুক্তি শিক্ষা এবং অনলাইন ভিত্তিক কর্মকাণ্ডে সৃজনশীলতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
রেস্টুরেন্ট, গ্যারেজ, ওয়ার্কশপ এবং তৈরি পোশাকের ওপর বাড়ানো ভ্যাটও প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাধারণ জনগণ এখন এসব সেবায় আগের মতোই খরচ করতে পারবেন, যা তাদের জন্য একটি বড় আর্থিক সাশ্রয়ের সুযোগ তৈরি করবে। বিশেষত, তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে কিছু পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ভ্যাট সরিয়ে নেওয়ায় গার্মেন্টস ব্যবসার ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এনবিআর-এর নতুন সিদ্ধান্তে সেবা খাতগুলোতে মূল্য বৃদ্ধির শঙ্কা দূর হয়েছে এবং এর ফলে দেশের অর্থনীতির সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার আশ্বাস মিলেছে।