কক্সবাজারের উন্নয়নে ৫০ বছরের মাস্টারপ্ল্যান প্রজেক্টের ‘কিক-অফ মিটিং’
![](https://www.shadhinkantho.com/wp-content/uploads/2024/02/a0a60b86-eec0-45f8-ace0-8c439ee9a658.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার : আধুনিক হচ্ছে কক্সবাজার। সেই পর্যটন নগরের টেকসই উন্নয়নে ৫০ বছররে মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের রোডম্যাপ ঠিক করতে স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের নিয়ে ‘কিক অফ মিটিং’ করেছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কউক।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) কউকের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত এই মিটিংএ সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার। মিটিংএ প্রকল্পের স্থানীয় অংশীদার সেলট্রন-ইকে আর্কিটেক্ট জয়েন্ট ভেঞ্চার জেভি এবং আন্তর্জাতিক অংশীদার সাসাকির প্রতিনিধিরা তাদের মতামত দেন।
মিটিং এ মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের পরিকল্পনাকারী এবং কনসালটেন্টরা প্রকল্পের অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করবেন, সে সম্পর্কে উপস্থিত সবাইকে বিস্তারিত জানান। শুরুতেই বলা হয় মাস্টারপ্ল্যানটি ২০২১ সালের ১৮ মে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কক্সবাজার সফরের সময় যে ২৯-দফা রূপকল্প ঘোষণা করেছিলেন, সেই আলোকেই পরিচালিত হবে।
এখানে স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের মতামত অগ্রাধিকার দিয়ে সেগুলো পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এছাড়া পূর্ব ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগের আন্তর্জাতিক প্রবেশদ্বার হিসেবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের দুই হাজার বছরের পুরনো ইতিহাস বিবেচনায় রেখে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে।
মিটিংএ মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুতির টিম লিডার এবং প্রধান আরবান ডিজাইনার ডেনিস পিপার্জ তার বক্তব্যে বলেন, এই প্রকল্পের আন্তর্জাতিক অংশীদার সাসাকি আন্ত-শৃঙ্খলার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা প্রথম ফার্ম। তারা উন্নত বিশ্ব গড়ার ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে। তারা বাংলাদেশ সরকারের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। পাশাপাশি প্রবৃদ্ধি ও ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করবে।
সেলট্রন ইএমএস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ক্যাম্পেইন অ্যাডভোকেসি প্রোগ্রামের প্রধান সমন্বয়ক, শেখ মোহাম্মদ ফাউজুল মুবিন তার বক্তব্যে বলেন, তার প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের জাতীয় অংশীদার হিসেবে তারা গণমানুষের চিন্তাভাবনা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের আকাঙ্ক্ষা মাস্টারপ্ল্যানে সমন্বয় করার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্টের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল মামুন প্রজেক্টের সাফল্যের জন্য টিমওয়ার্কের ওপর গুরুত্ব দেন।
পরে সমাপনী বক্তব্যে কউকের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার প্রকল্পের সাথে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই দিনটি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং কক্সবাজারবাসীর জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ এই দিনে কক্সবাজারের উন্নয়ন ধারার পরবর্তী ৫০ বছরের সূচনা হলো। এইদিনে যে রোডম্যাপের সুচনা হলো তা ভবিষ্যতের কক্সবাজারকে আরও উজ্জ্বল করবে।
সভায় অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন সিএসসির প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সাদেক মাহমুদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাহসিন বিন আলম, সেলট্রন-ইকে আর্কিটেক্ট জেভির প্রকল্প পরিচালক, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মামুন অর রশিদ সেলট্রন ইএমএস লিমিটেডের পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শহীদ মোস্তফা এবং সাসাকির আরবান ডিজাইনার আলিখান ইকবাল মোহাম্মদ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ হিশাম উদ্দিন চিস্তি।