২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

কলকাতায় সিয়ামকে নিয়ে অভিযান, খালে মিলল ‘হাড়’

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কন্ঠ
আপডেট :
জুন ৯, ২০২৪
32
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় আসামি সিয়াম হোসেনকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বাগজোলা খালে তল্লাশি চালিয়েছে সেখানকার গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু হাড়।

আসামি সিয়ামের দাবি, এসব হাড় খুন হওয়া এমপি আনারের।

রবিবার (৯ জুন) সকালে গ্রেপ্তার সিয়ামকে নিয়ে ভাঙড়ের সাতুলিয়া এলাকার বাগজোলা খালে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযানে গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে ছিল ভারতীয় নৌবাহিনী, কোস্টাল বাহিনী, কলকাতা পুলিশের দুর্যোগ মোকাবিলা টিম।

সিয়ামের দেখানো জায়গায় তল্লাশি চালায় সমন্বিত বাহিনী। এসময় খালে বেশ কিছু হাড় পাওয়া যায়। সিয়ামের দাবি, এগুলো আনারের শরীরের হাড়। যদিও এ বিষয়ে এখনই নিশ্চিত নয় গোয়েন্দা পুলিশ। তারা জানিয়েছে, হাড় কার সেটা জানতে ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে।

এর আগে ওই হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার আরেক আসামি জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, এমপি আনার হত্যায় মাংসের অংশ সরিয়ে ফেলার দায়িত্ব তার ওপর ছিল। হাড় সরিয়ে ফেলার দায়িত্ব ছিল সিয়ামের ওপর। তবে ততক্ষণে সিয়াম নেপালে চলে যান। তাকে জালে আনতে ভারত ও বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা নেপালে জোর তল্লাশি চালান।

এরপর ৭ জুন পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি জানায়, সিয়াম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৮ জুন তাকে তোলা হয় বারাসাত কোর্টে। বিচারকের নির্দেশে, ১৪ দিন তাকে রিমান্ডে পায় সিআইডি। তারপরই এদিন সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

আগামী ২২ জুন সিয়ামকে আবার বারাসাত আদালতে তোলা হবে।

আদালতের সরকারি সহকারী আইনজীবী (অ্যাসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটার) মন্দাক্রান্তা মুখোপাধ্যায় বলেছেন, এমপি আনারের দেহাংশ উদ্ধার এবং হত্যা করতে যেই অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, সেসব উদ্ধারের জন্যই সিয়ামকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাকে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী ৩৬৪, ৩০২, ২০১, ৩৪ ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি ১২০ বি ধারাও দেওয়া হবে।

এর মধ্যে ৩৬৪- হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ, ৩০২- অপরাধমূলক নরহত্যা, ২০১- তথ্য লোপাট অর্থাৎ অস্ত্র ও মরদেহ পরিকল্পনা করে সরিয়ে ফেলা, ৩৪-একত্রে ষড়যন্ত্র এবং ১২০বি- অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে) রয়েছে। এ ধরনের মামলায় সর্বোচ্চ রায় হিসেবে বিচারক আমৃত্যু যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদণ্ড দিতে পারেন।

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram