কলারোয়ায় তথ্যসেবা কেন্দ্রের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত
জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি:“মুজিববর্ষ দোর গোড়ায় তথ্য আপা পথ দেখায়” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কলারোয়ায় তথ্যসেবা কেন্দ্রের এক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৮ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টার দিকে মুজিব শতবর্ষ উপলে কলারোয়া পৌর সদরের ঝিকরা গুচ্ছাগ্রামে এক ঊঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন>>>আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি – ফখরুল
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর বিষয় তুলে ধরে এই ঊঠান বৈঠকের আয়োজন করে উপজেলা তথ্য কেন্দ্র। উপজেলা তথ্যসেবা কর্মকর্তা অনিমা রাণীর সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য দেন-উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুন নাহার আক্তার, কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবীর,তথ্যসেবা সহকারী ইরিনা পারভীন, নাসরিন নাহার, ঝিকরা গুচ্ছগ্রামের আসমা খাতুন, মুক্তা মনি সহ ২৫ জন নারী।
আরও পড়ুন>>>মুজিববর্ষ উপলক্ষে যশোর বিআরটিএতে বিশেষ সেবা সপ্তাহ চালু
বৈঠক শেষে প্রত্যেক নারীর মধ্যে মাক্স ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। উপজেলা তথ্যসেবা কর্মকর্তা অনিমা রাণী বলেন-বিনামূল্যে অনলাইনে ফরমপুরন করা, চাকুরী সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া, চাকুরীর আবেদন ফরম পুরন করা, পরীক্ষার ফলাফল বের করে দেয়া, এছাড়া কম্পিউটারের যাবতীয় কাজ বিনা মূল্যে করা হয়।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বিনা মূল্যে প্রদান করা হয়। ডায়াবেটিকস পরীক্ষা, ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা, ওজন ও উচ্চতা পরিমান দেয়া হয়। মহিলাদের দৈনন্দিন সমস্যা সামাধানে তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক সেবা প্রদান, উপজেলার সরকারী অফিসের বিভিন্ন সেবাসমূহের তথ্য বিনা মূল্যে সরবরাহ করা।
আরও পড়ুন>>>বানারীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর কর্মকর্তাদের পকেট ভার
বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ই-মেইল, স্কাইপের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্স সেবা প্রদান করা হয়। মহিলাদের উদ্দোগী হিসাব গড়ে তোলা। ল্যাপটপ ইন্টারনেট ব্যবহার করে প্রকল্প এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন, ব্যবসা, জেন্ডার, কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার সামাধান এবং স্কাইপের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তার সাথে সেবাগ্রহীতার কথোপকথনের মাধ্যমে সমস্যার কর্যকরী সমাধান করা হয়।
নারী নির্যাতনে সরকারী খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান। ই-কমার্স সেবা প্রদান, প্রতি মাসে ২টি উঠান বৈঠকে মুক্ত আলোচনা করা হয়।