কলারোয়ায় নারিকেল ও সুপারি পাড়া নিয়ে নিরহ কৃষককে হাতুড়ি পিটা
কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি: কলারোয়ায় নারিকেল ও সুপারি পাড়াকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত হামলায় নিরহ কৃষক জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এঘটনায় সোমবার (১৬ নভেম্বর) কলারোয়া থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগ সুত্রের তথ্য মতে, কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের কাশিয়াঙ্গা গ্রামে নজরুল ইসলাম তার পৈত্রিক জমি রেখে তার শ্বশুর বাড়ী ডুমুরিয়ায় চলে যায়। উক্ত জমি রেখে চলে যাওয়ার সময় তার ভাই মুজাম দফাদারকে দেখভাল করার জন্য দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ওই জমির দেখাশুনা করে মুজাম দফাদার।
গত ১৫ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাফিজা খাতুন, রশিদা খাতুন, সহিদা খাতুন, রমেছা খাতুন, বাবলু শেখ, আব্দুর রহিম, ইকরামুল হোসেন দলবদ্ধ হয়ে তাদের বাড়ীতে গিয়ে গাছ থেকে নারিকেল ও সুপারি পাড়তে থাকে। প্রতিবাদ করাতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যায়।
ঘটনা শুনে জমির মালিক নজরুল ইসলাম ডুমুরিয়া থেকে এসে সকল কিছু দেখে বিবাদী হাফিজা খাতুনকে নারিকেল ও সুপারি কেন পেড়েছ জিজ্ঞাসাবাদ করায় উতপ্ত ব্যবহার করতে থাকে।
এসময় রশিদা খাতুন সকল বিবাদীকে নজরুল ইসলামকে মারার হুকুম দেন। সাথে সাথে তারা দলবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড ও হাতুড়ি নিয়ে এলোপাতাড়ী ভাবে নজরুল ইসলামকে ধরে পিটিয়ে জখম করে।
এসময় নজরুল ইসলামকে ঠেকাতে গিয়ে তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শিরিনা খাতুন (৩০)কেও তারা এলোপাতাড়ী ভাবে পিটিয়ে জখম করে অবরুদ্ধ করে রাখে। আহতদের চিৎকারে পাশ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে। পরে গুরুত্বর জখম অবস্থায় নজরুল ইসলামকে কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এর আগে আসামীরা গৃহবধু শিরিনা খাতুনের ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন কেড়ে নেয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩৫ হাজার টাকার মতো। এসকল ঘটনা উল্লেখ্য করে কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের মুজাম দফাদারের স্ত্রী শিরিনা খাতুন বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।