কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলার ঘটনা স্থান দেখতে আসলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর

জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি: কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলা মামলার ঘটনা স্থান সরেজমিনে দেখতে আসলেন বাংলাদেশ অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর হোসেন।
শুক্রবার (১৮ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে তিনি কলারোয়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস সংলগ্ন যশোর-সাতক্ষীরা মহা সড়কের উপর হামলার ঘটনা স্থান ঘুরে দেখেন।
পরে ওই মামলার বাদী যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দীনের বাড়ীতে গিয়ে সাক্ষাত করেন। এসময় মামলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন এবং তার শরীরের খোজ খোবর নেন।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন-ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মাদ শাহীন মীরধা, পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) আব্দুল রতিফ, এ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ হোসেন, কলারোয়া পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বুলবুল, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আলিমুর রহমান, কলারোয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জেল্লাল হোসেন, আ.লীগনেতা ও শিক্ষক নেতা বদরুজ্জামান বিপ্লব, কলারোয়া প্রেস কাবের সভাপতি ও ডেইলি অবজারভার পত্রিকার কলারোয়া প্রতিনিধি জুলফিকার আলী প্রমুখ।
উল্লেখ্য,ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় যান আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
সেদিন সড়কযোগে ঢাকায় ফেরার পথে সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় শেখ হাসিনাকে ল্যক্ষ করে গুলি ছোড়া হয়। এমনকি বোমার বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৭ মে বিএনপির তৎকালীন সাংসদ হাবিবসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে পৃথক অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০১৭ সালের ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন হয়। ২০১৭ সালে ওই আবেদনে একই সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সেই রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়।
এরপর গত ৬ অক্টোবর সে রুলের শুনানি শেষে রুলটি খারিজ করেন হাইকোর্ট।
ফলে দায়রা জজ আদালতে মামলাটি চলতে বাধা নেই। এরপর গত ৮ অক্টোবর ওই হামলার ঘটনায় করা মামলাটি তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।