কাতার অবরোধ তুলে নেয়ার ইঙ্গিত সৌদির
ডেক্স রিপোর্ট: তিন বছর আগে সৌদি আরবসহ চারটি আরব রাষ্ট্র উপসাগরীয় প্রতিবেশী কাতারের ওপর সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করেছিল। ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এর সঙ্গে বৈঠকের পর সেই অবরোধ তুলে নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহান। খবর আল-জাজিরার।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসির আয়োজনে বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল আলোচনায় সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটা সমাধান খোঁজার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা কাতারি ভাইদের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। আশা করছি, তারাও আলোচনায় বসার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
যুবরাজ ফয়সাল আরও বলেন, ‘তবে নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের এই চার দেশের আইনসঙ্গত উদ্বেগের সমাধান করাটাও দরকার। আমি মনে করি, অদূর ভবিষ্যতে সমাধানের পথও খোলা রয়েছে। আর যে কারণে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সেই নিরাপত্তা উদ্বেগের সমাধান খুঁজে পেলে তা হবে গোটা অঞ্চলটির জন্য সুসংবাদ।’
অবরোধ আরোপকারী দেশগুলো দোহার বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদে মদদ’ ছাড়াও বছরের পর বছর ধরে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছিল। এ ছাড়া আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের খুব ঘনিষ্ঠ হওয়ারও অভিযোগও উঠেছিল দোহার বিরুদ্ধে। তবে কাতার তীব্রভাবে এসব অভিযোগ প্রত্যাখান করে আসছে।
কাতারভিত্তিক সংবামাধ্যম আল-জাজিরা লিখেছে, এই অবরোধের অবসান ঘটাতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে তাগাদা দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানবিরোধী জোট তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।
এই চার দেশ আল-জাজিরা বন্ধ করে দেয়া, ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন, ইরানের সাথে সম্পর্ক সীমাবদ্ধ করা এবং দেশটিতে মোতায়েন তুর্কি সেনাদের বহিষ্কার করার মতো শর্ত জুড়ে দেয়ার পর কাতার তা মানতে অস্বীকৃতি জানানোয় এই বিরোধের অবসানে অতীতের বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বলেছেন, কূটনৈতিক সংকট নিরসনে তার দেশ সংলাপের জন্য প্রস্তুত। তবে সংকটের যে কোনো সমাধানে অবশ্যই তার দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করার ওপর জোর দিতে হবে।