জনি আহমেদ, চুয়াডাঙ্গাঃ অন্যান্য জেলার ন্যায় চুয়াডাঙ্গায় চলছে আমন ধানের ভরা মৌসুম। তারপরও কৃষকদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। এবার খড়া রোদ আর কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হওয়ায় ফসল ফলনে দারুণভাবে লোকসান হওয়ার আশঙ্কায় চিন্তায় পড়েছে চাষীরা।
কারণ হিসেবে চাষীরা বলছেন, আমন ধানের ফসল ফলনে সরকার কর্তৃক জ্বালানি তেলের দাম অভাবনীয় হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় খরচ প্রায় বেড়েছে দ্বিগুন। যার কারণে লোকসান হওয়ার আশঙ্কা করছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার চাষীরা।
আরও পড়ুন>>>ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক চার লেন হলে দুরত্ব কমবে ৮৬ কি: মি:
একদিকে, যেমন জ্বালানি তেলের দাম অভাবনীয় হারে বেড়েছে তেমনী বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের সার ও কৃষি যন্ত্রপাতির দাম । এতে করে শুধু আমন ধানই নয় আগামীতে বিভিন্ন ধরনের ধানের আবাদ করতে হলেও খরচ হবে অভাবনীয়। ফলে বর্তমানের চেয়ে আরও বেশি প্রভাব পড়বে চালের বাজারে। তবে চালের দাম বর্তমানে বস্তা প্রতি ২শ` থেকে আড়াইশ` টাকা হারে বৃদ্ধি পেলেও আগামীতে তার চেয়েও আরও দ্বিগুন হারে বাড়ার শঙ্কা রয়েছে বেশিরভাগই।
এতে করে সাধারণ ভোক্তারা বর্তমানে যেমন চালের কাজারে ঢুকলে পকেট ফাঁকা হচ্ছে তেমনী আগামীতে চালের বাজারে ঢুকতে সাহসও পাবেনা মধ্যবিত্ত-উচ্চ মধ্যবিত্তরাও। আর নিম্নবিত্ত মানুষের ভাত খাওয়ার স্বপ্ন ধূলিস্বাত হতে পারে অনেকটাই। তবে এবার আমন ধানের অর্জিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম উৎপাদন হবে বলে ধারণা করছে চাষীরা। এ লোকসান থেকে বাঁচতে হলে কৃষকদের প্রতি সরকারের নজর দেয়া জরুরী বলে মনে করছে চাষীরা। তবে`কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ` এ স্লোগানকে সরকার প্রাধান্য না দিলে কৃষি খাত উল্টে যাবে। যার প্রভাব পড়বে সকল জাতির ওপর।
অপরদিকে কৃষকরা আরও বলছেন, গত মৌসুমে এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে খরচ হতো ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। তবে জ্বালানি তেল ও বিভিন্ন সারের দাম বাড়ায় বিঘা প্রতি এবার খরচ পড়ছে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। এতে করে লোকসান হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে চিন্তায় মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের।
কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকন্দবাড়িয়া গ্রামের কৃষক মহসিন আলী বলেন, জ্বালানি তেল ও কৃষিপণ্যের দাম বাড়ায় এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে, তেমনী সময়মত কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হওয়ায় ফলনও ভালো হয়নি। এতে করে লোকসান হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছি।
কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, এবার জেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল ফলনে কিছুটা বিরুপ হওয়ায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে কৃষি বিভাগ থেকে নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কৃষি পণ্যের দাম বাড়ায় আমনের ওপরও প্রভাব পড়েছে।
