কেশবপুরে গাছ কাটার উৎসবে মেতেছে গাছিরা

কেশবপুরে গাছ কাটার

এস এম মারুফ: যশোরের কেশবপুর উপজেলায় শীতের আমেজ আসার সাথে সাথে গাছিরা খেজুরের রস সংগ্রহে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কেশবপুরে গাছ কাটার কেশবপুরে গাছ কাটার  কেশবপুরে গাছ কাটার 

প্রকৃতির পালা বদলে আসে শীত। প্রভাতে শিশির ও ঘন কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমণী বার্তা।
শীতের মৌসুম শুরু হতে না হতেই রস ও গুড়ের চাহিদা মেটাতে গাছিরা খেজুর গাছ কাটা শুরু করেছেন।

খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য এখন গাছের আগায় বিশেষ পদ্ধতিতে কাটা চলছে।
ধারালো দা (গাছিদা) দিয়ে খেজুর গাছ কাটা বা চাঁচ দেওয়া হয়।

সপ্তাহ খানেক পর নোলন স্থাপনের মাধ্যমে শুরু হয় সুস্বাদু খেজুর রস সংগ্রহের কাজ।
তার কিছুদিন পরই গাছে লাগানো হবে মাটির পাতিল বা ভাড়।
এই মাটির পাতিল বা ভাড়ে সংগ্রহ করা হবে খেজুরের রস।
তা দিয়েই তৈরি হবে গুড় ও পাটালি।

কেশবপুরের বেশির ভাগ গ্রামে চোখে পড়ে খেজুর গাছের বিশাল সমারোহ। জমির আইলে ও পতিত জায়গায় অসংখ্য খেজুর গাছ দেখা যায়।

কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর, বরনডালি, মৃর্জানগর, চাঁদড়া, বড়েঙ্গা, মঙ্গলকোট, মজিদপুর, দোরমুটিয়া ও সাতবাড়িয়াসহ প্রভৃতি গ্রাম জুড়ে রয়েছে খেজুরের গাছ।

শীত মৌসুমে খেজুরের রস দিয়েই গ্রামীণ জনপদে শুরু হয় শীতের আমেজ। শীত যত বাড়বে, খেজুরের রস তত বেশি পরিমাণে হবে। শীতের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ দিনের শুরুতে খেজুরের রস, সন্ধ্যা রস ও সুস্বাদু গুড়-পাটালী।

আরো পড়ুন: বিদেশে পাঠানোর নামে পাইকগাছার ৩ যুবকের সাথে প্রতারণা; নারী সহ আটক ২

বাড়ীতে বাড়ীতে খেজুুরের রস জ্বালিয়ে পিঠা পায়েসসহ হরেক রকমের মুখরোচক খাবার তৈরির ধুম পড়ে শীতকালে। সুস্বাদু পিঠা ও পায়েস তৈরীতে আবহমান কাল থেকে খেজুর গুড় ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

অনেক কৃষকের খেজুর গাছ কেটেও সংসার চলে‌। এখানকার কারিগরদের দানা পাটালি তৈরিতে ব্যাপক নাম।খেজুরের গুড়-পাটালীর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে অন্যান্য জেলা ও দেশের বাইরেও। অনেকে দেশের বাইরেও সরবরাহ করেন সুস্বাদু গুড়-পাটালী।

কেশবপুর উপজেলার উদ্যোগে যে গাছ কাটার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এতে গাছিরা আরো উৎসাহী হয়ে গাছ কাটায় মনোযোগী হয়েছে।

কেশবপুরে গাছ কাটার কেশবপুরে গাছ কাটার 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here