কেশবপুরে বাড়ি নির্মাণে প্রতিপক্ষের বাঁধা ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের কেশবপুরে টিপু সুলতান নামে এক ব্যক্তি তার ক্রয়কৃত জমির উপর বাড়ি তৈরির নির্মাণের কাজ শুরু করলে প্রতিপক্ষরা জমিতে ঘর নির্মাণে বাঁধা ও হুমকী দেয়ার ঘটনায় রোববার সকালে কেশবপুর প্রেসক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করেন টিপু সুলতান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে টিপু সুলতান বলেন, উপজেলার বায়সা গ্রামের মৃত নওয়ার আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী গাজী, মো: ইব্রাহিম গাজী, মো: শামসুর রহমান গাজী, মো: রফিকুল ইসলাম গাজী ও মেয়ে মোছা: আমেনা বেগম এলাকার ও বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী এবং কুচক্রী মহলের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে ২৯ নম্বর বায়সা মৌজার সি.এস খতিয়ান ৮৪৮, সি.এস দাগ- ৯৪৯, ৯৫০, ৯৫২, এস.এ খতিয়ান ৭১০, এস.এ দাগ- ৯৪৯, ৯৫০, ৯৫২, আর.এস খতিয়ান ২৭৩, আর.এস দাগ-১০২৫ মোট ৪৪ শতক জমি নিজেদের দাবি করে আসছে।
প্রকৃতপক্ষে উক্ত দাগ ও খতিয়ানের ৪৪ শতক জমির মধ্যে কবিরুল ইসলামের ৯ শতক এবং তার ও স্ত্রী শিউলী খাতুনের ৫ শতক, ইউনুচ আলী মোড়লের ৭ দশমিক ৩৪ শতক, মমতা রানী গং’র ৭ শতক, মতলেব গাজীর ৫ শতক, আব্দুল করিম খাঁর ৪ শতক, শহিদুল ইসলামের ৬ শতক এবং রাস্তা শূন্য দশমিক ৬৬ শতক জমি ক্রয় সূত্রে মালিক হওয়ায় সকলে যে যার অংশ দখলে নিয়ে নামপত্তনও করে নিয়েছে।
এই জমির মধ্যে পাকা বাড়ি তৈরি, ফসল উৎপাদনসহ অন্যান্য কার্যক্রম চলছে। বিপত্তি ঘটে তাদের অংশে বাড়ি নির্মাণের সময়। মোহাম্মদ আলী গাজীর হুকুমে তার ছেলে শাহিন গাজী স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে তাদের অংশে বাড়ি নির্মাণের বাঁধা প্রদান করে আসছে। এছাড়া জমি ক্রয়ের পর থেকে তার ও কবিরুল ইসলামের উপর মোহাম্মদ আলী গাজী গং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো অব্যাহত রেখেছে। সঙ্গে সঙ্গে উক্ত জমির জালজালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজ তৈরি করে ওই জমি নিজেদের দাবি করছে।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে ঘটনা উল্লেখ করে কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তারা। মোহাম্মদ আলী গাজী গংদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে হয়রাণীমূলক মামলায় জড়িয়ে ক্ষতি করার চেষ্টায় লিপ্ত হওয়ায় ভুক্তভোগীরা তাদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণসহ দায়ি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল করিম খাঁ, আয়ুব হোসেন, আব্দুল মাজিদ, আব্দুল করিম, ইউনূচ আলী, আব্দুল মজিদ খান, ও কবিরুল ইসলাম।