খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল স্কুলের অস্থায়ী শিক্ষক-কর্মচারিদের এমপিও ভূক্তির দাবি
খুলনা ব্যুরো
খুলনা অঞ্চলের বন্ধ ঘোষিত রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বিদ্যালয়গুলোতে কর্মরত অস্থায়ী শিক্ষকদের এমপিওভূক্তির দাবি জানানো হয়েছে। এ দাবিতে পাটকলগুলোর স্কুলে কর্মরত শিক্ষকরা সোমবার খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন। খুলনা উন্নয়ন ফোরামের ব্যানারে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম ও স্টার জুটমিল বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন ৪০ জন অস্থায়ী শিক্ষক-কর্মচারি। তারা দীর্ঘ ১০/১৫ বছর ধরে বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান করছেন। এছাড়া পিইসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনসহ সরকারের সব ধরণের নির্দেশনা সঠিকভাবে পালন করেছেন। এ অবস্থায় চাকরি চলে গেলে পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, পাটকলগুলো বন্ধ ঘোষণার পর বিদ্যালয়গুলোর স্থায়ী শিক্ষকদের এমপিওভূক্তির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু অস্থায়ী শিক্ষকদের বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। এতে অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন ৪০ জন শিক্ষক-কর্মচারী।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন খুলনা উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি শরিফ শফিকুল হামিদ চন্দন, প্লাটিনাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী শিক মোহাম্মদ দুলাল উদ্দিন খান,
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন খুলনা উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান শরিফ শফিকুল হামিদ চন্দন। শিকদের প থেকে ছিলেন প্লাটিনাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক মোঃ দুলাল উদ্দিন খান, শ্রাবণী শারমিন, এমদাদুল হক, তাহমিনা মুক্তা, কবিতা রানী দাস, মাহমুদা সিদ্দিকা, এস এম আহমেদ, বাবলুর রহমান, স্টার জুটমিল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক শিলা মমতাজ, লাবনী আক্তার, কাজী আজরান উদ্দিন, লিপিয়া আক্তার, বীনা আক্তার প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৫ জুলাই অস্থায়ী শিক্ষকের পক্ষ থেকে খুলনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং ৩ অক্টোবর খালিশপুর পিপলস জুটমিল গেটস্থ বিআইডিসি রোডে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে পাটকলের স্থায়ী শিক্ষকদের সঙ্গে তাদেরও স্থায়ী করার দাবি জানানো হয়।