চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নারীকে গনধর্ষন
নির্যাতিত নারী জানান, তিনি যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাসিন্দা এবং এতিম। মানুষের বাড়িতে তিনি বেড়ে উঠেছেন।
খুলনার ফুলতলা উপজেলার পত্তিপুর গ্রামের মানিক কুন্ডুর সাথে তার পরিচয় ছিল। মানিক কুন্ডু তাকে একটি চাকরি দেবার আশ্বাস দেয়। এজন্য তিনি ২০ হাজার টাকাও নেন। বিগত দুইমাস ধরে চাকরি না দিয়ে টালবাহান করছিলো।
সর্বশেষ তিনি জানান, শুক্রবার ছুটির দিন নিয়োগ কর্তার বাড়ি যশোরে নিয়ে যাবেন বলে জানান। সেই মোতাবেক শুক্রবার বিকেলে মানিক কুণ্ডু তাকে নিয়ে যশোরে আসেন। যশোর পৌঁছানোর পর আরো দুইজনকে সাথে নেন মানিক কুণ্ডু।
এরপর সন্ধ্যার দিকে ইজিবাইকে করে হাশিমপুর যাবার উদ্দেশে নিয়ে যায়। পথে রাস্তায় নেমে বলে মাঠের ভিতর দিয়ে যেতে হবে। কিছুদূর যাওয়ার পর একটি বাগানে তাকে জাপটে ধরে। বাধা দিলে মারপিট করা হয়।
এরপর তিনজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে ফেলে পালিয়ে যায়। অসুস্থ অবস্থায় সেখানে পড়ে থাকলে এক পথচারী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতানের চিকিৎসক আজিজুল হাকিম বলছেন, ভর্তি নারীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তার গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হওয়ায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা নারীর অভিযোগ শুনেছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, ওই নারীর অভিযোগটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কোন আসামীকে আটক করতে পারেনি।