জেমকন খুলনায় সাকিব-রিয়াদের সঙ্গে খেলছেন যারা

জেমকন খুলনায়

খেলা ডেস্ক: দেখতে দেখতে চলে এলো কাঙ্খিত সময়, পেরিয়ে গেলো মাস-দিন-ঘণ্টা। আর মাত্র দু’দিন পর শুরু হবে জমজমাট টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট- বঙ্গবন্ধু কাপ টি-টোয়েন্টি।

করোনার পর জমজমাট একটি প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টেরই অপেক্ষায় ছিল ক্রিকেটপ্রেমীরা। বিদেশি ক্রিকেটারদের এনে বিপিএল আয়োজন করা হয়তো সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু দেশি তারকাদের দিয়ে যে একটি জমজমাট টুর্নামেন্ট আয়োজন সম্ভব, সেটা এবার দেখিয়ে দিতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

৫ দলের টুর্নামেন্ট। বিপিএলের আদলেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের টুর্নামেন্টটি। ফ্রাঞ্চাইজি, স্পন্সর, মিডিয়া রাইটস, প্লেয়ার ড্রাফট, জমজমাট প্রস্তুতি- সবই থাকছে। শুধু বিদেশি তারকা থাকছে না। দেশি তারকাদের মধ্যে মাশরাফি বিন মর্তুজা ছাড়া এই টুর্নামেন্টে খেলছেন সব ক্রিকেটারই। সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ থেকে শুরু করে সবাই।

২৪ নভেম্বর শুরু হওয়ার কথা রয়েছে এই টুর্নামেন্ট। তার আগে প্রতিটি দলই তাদের সর্বশেষ প্রস্তুতি শেষ করে এনেছে। কিন্তু সমর্থকদের মধ্যে জোর আলোচনা চলছে দলগুলোর শক্তি এবং সামর্থ্য নিয়ে। স্বাধীন কণ্ঠ পাঠকদের জন্য একে একে তুলে ধরা হলো এই টুর্নামেন্টের প্রতিটি দলের শক্তি এবং সামর্থ্য কেমন, সেই আলোচনা। প্রথমেই থাকছে জেমকন খুলনা।

কাগজে-কলমে চোক বন্ধ করে জেমকন খুলনাকে সেরা দল আখ্যা দেয়া যায়। প্লেয়ার ড্রাফট শুরুর আগে চিন্তা চিল ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রাখা ৫ তারকা ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে একজন করে দলে টানবে প্রতিটি ফ্রাঞ্চাইজি। এই ৫ জন হলেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহীম এবং মোস্তাফিজুর রহমান।

কিন্তু মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী যখন তাদের প্রথম কলে ‘এ’ ক্যাটাগরির কাউকে না নিয়ে সাইফুদ্দিনকে দলে টানে তখন খুলনা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে দলে পেয়ে যায় সাকিব আল হাসানকেও।

এ কারণেই মূলতঃ এবারের বঙ্গবন্ধু কাপ টি-টোয়েন্টিতে খুলনাকে তৈরি করেছে ফেবারিট দলে। দলটির মিডল অর্ডার সবচেয়ে শক্তিশালী- এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।

খেলোয়াড় ড্রাফটে বেশ ভেবে-চিন্তে, বাছাই করে খেলোয়াড় কিনতে পেরেছিল খুলনা। সাকিব-মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তারা ওপেনিংয়ে নিয়েছে অভিজ্ঞ ইমরুল কায়েস এবং এনামুল হক বিজয়কে। এছাড়াও অভিজ্ঞ আরিফুল হক, জহুরুল ইসলাম অমিকে দলে নিয়েছে তারা। যারা বিপিএলে সব সময়ই ভালো খেলে থাকেন।

শুভাগত হোম, জাকির হাসান, সালমান হোসেন এবং অনুর্ধ্ব-১৯ দলের অলরাউন্ডার শামিম হোসেন রয়েছেন দলটির ব্যাটিং শক্তির উৎস হিসেবে। ঘরোয়া ক্রিকেটে, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে অনেক কার্যকর দুই পেসার আল-আমিন হোসেন এবং শফিউল ইসলামকেও দলে টেনে নিয়েছে তারা।

এছাড়া হাসান মাহমুদ কিংবা শহিদুল ইসলাম হতে পারেন দলটির তৃতীয় পেসার। একই সঙ্গে বাঁ-হাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম, লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে দিয়ে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে গড়ে তুলতে পারে দারুণ এক স্পিন ডিপার্টমেন্ট।

সম্ভাব্য একাদশ : ইমরুল কায়েস, এনামুল হক বিজয় (উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আরিফুল হক, শুভগত হোম, শামিম হোসেন, শফিউল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ এবং আল আমিন হোসেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here