২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

ঝালজাতীয় খাবার শরীরের জন্য অনেক উপকারী

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কন্ঠ
আপডেট :
আগস্ট ২৬, ২০২৪
24
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
সংগৃহিত
| ছবি : সংগৃহিত

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ঝাল জাতীয় খাবার প্রতিদিনই কমবেশি সবাই খান। তবে কিছু কিছু মানুষ অতিরিক্ত ঝাল খেতে ভালোবাসেন, যা দেখলে অন্যদেরই হয়তো জিহ্বায় জ্বালাপোড়া শুরু হয়! তবে জানলে অবাক হবেন, ঝালজাতীয় খাবার শরীরের জন্য অনেক উপকারী। বিভিন্ন রোগের সমাধান মেলে ঝাল খাবারে।

ঝাল ও মসলাদার খাবার খেলে জিহ্বার রিসেপ্টরগুলোতে জ্বলন্ত অনুভূতি হয়। যা মরিচে থাকা ক্যাপসাইসিনের কারণে ঘটে। গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণ খাবারের তুলনায় লাল মরিচ দিয়ে রান্না করা খাবার খেলে মোট ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ ৭৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া যায়, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মরিচের রাসায়নিক যৌগ ক্যাপসাইসিনয়েড অন্যান্য স্বাদের খাবার যেমন- মিষ্টি, নোনতা ও চর্বিযুক্ত খাবারের লোভ কমাতে সাহায্য করে। অনেকেরই ধারণা মসলাযুক্ত ঝাল খাবার স্বাস্থ্যকর নয়, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ঝালজাতীয় খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
ঝাল খাবার কেন ভালো?

স্থূলতা প্রতিরোধে
ক্যাপসাইসিনযুক্ত খাবার খাওয়ার তৃপ্তি বাড়ায়, ক্যালোরি ও চর্বির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, ক্যাপসাইসিনযুক্ত খাবার খেলে শক্তি ব্যয় ও ফ্যাট টিস্যু অক্সিডেশন বাড়ে, যা ওজন বৃদ্ধি রোধ করতে পারে। অসংখ্য গবেষণা অনুসারে, জিরা, দারুচিনি, হলুদ, মরিচ ও মরিচের মতো মসলা আপনার বিপাকীয় হার বাড়িয়ে তুলতে পারে। এমনকি ক্ষুধাও কমিয়ে আনে।

ক্যানসার প্রতিরোধ করে
প্রি ক্লিনিকাল গবেষণা অনুসারে, ক্যাপসাইসিন ক্যানসার কোষকে ধ্বংস করে। যদিও এই বিষয়ে গবেষণা ন্যূনতম ও মসলাদার ঝালজাতীয় খাবার খেলে ক্যানসার প্রতিরোধ হবে কি না এমন কোনো প্রমাণ নেই। তবে গবেষকরা ক্যাপসাইসিন ধারণকারী ওষুধের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছেন।

সর্দি-কাশি উপশম করে
মৌখিক গহ্বর ও গলায় থাকা ক্যাপসাইসিন শ্বাসযন্ত্রের ট্র্যাক্টে তরল প্রবাহিত করে। তাই মসলাদার খাবার খেলে সর্দি, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, সাইনোসাইটিস ও হাঁপানি সমস্যার সমাধান ঘটে। এমনকি নাকের বন্ধভাব কিংবা কফ নির্গত আরও সহজ হয়।

আয়ু বাড়ে
হার্ভার্ড ও চায়না ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন দ্বারা পরিচালিত একটি বৃহৎ সমীক্ষা অনুসারে, সপ্তাহে ৬-৭ দিন মসলা ও ঝালজাতীয় খাবার খেলে মৃত্যুহার ১৪ শতাংশ কমে যায়।

সাইনাসের সমস্যা কমায়
ঝালজাতীয় খাবার খেলে সাইনাস কনজেশন কমে ও অনুনাসিক প্যাসেজগুলোর বন্ধভাব কেটে যায়। মরিচের মতো মসলাদার খাবার শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়, যা কার্যকরভাবে জ্বরের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এমনকি লক্ষণ গুলোও উপশম করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে মসলাদার খাবার খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে প্রচুর পরিমাণে খাওয়া হলে, মরিচের মধ্যে থাকা জ্বলন্ত যৌগ ক্যাপসাইসিন আবার বিভিন্ন সমস্যার কারণও হতে পারে। যেমন- বমি বমি ভাব, বমি ও ডায়রিয়ার মতো তীব্র স্বল্পমেয়াদী লক্ষণগুলোর কারণ হতে পারে অতিরিক্ত ঝাল খাবার। তবে এক্ষেত্রে স্নায়ুতন্ত্রের অতিরিক্ত উত্তেজনার কারণে অন্ত্রের আস্তরণের তেমন কোনো স্থায়ী ক্ষতি হয় না।

তথ্যসূত্র : বোল্ডস্কাই

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram