স্টাফ রিপোর্টারঃ যশোরে দেবরের কটুক্তি মূলক কথা সইতে না পেরে সালেহা বেগম(৩২) নামে এক গৃহবধূ তার পাঁচ বছরের ছেলে হাসানুর রহমান বান্নাকে বিষ খাইয়ে নিজেও বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্ঠা করে।
আত্মহত্যায় ব্যার্থ হলে পরিবারের লোকজন মা ও শিশুকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার করেন।
বৃহস্পতিবার (০৩ জানুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার সাতমাইল তীরের হাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধু ওই গ্রামের মনিরুল ইসলামের স্ত্রী।
আরও পড়ুন>>>বিধিনিষেধ বাড়লো ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত (০১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে প্রতিবেশি হাফিজুর রহমানের ছেলে রনি গৃহবধূর শোবার ঘরে ঢুকে তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্ঠা করেন। এ সময় চেঁচামেচি করলে রনি ঘর থেকে পালিয়ে যায়।
পরের দিন (০২ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি গ্রামের মুরোব্বিদের জানালে তারা সালিশের ডাক দেন। সালিশে রনি নিজের অপরাধ স্বীকার করলে মুরোব্বিরা তাকে জরিমানা স্বরুপ শাস্তি প্রদান করেন। বিষয়টি সালিশে শেষ হয়ে যায়। অতপর স্বামীর ছোট ভাই মনিরুজ্জামান মনির( আপন দেবর) গৃহবধূর স্বামীকে তার (ভাবির) সম্পর্কে খারাপ কথা বলে।
দেবরের বাজে কথায় মা ছেলের আত্নহত্যার চেষ্টা
এতে গৃহবধূ দেবরের কাছে মানুষিক নির্যাতনের শিকার হন। বিষয়টি তিনি সহ্য করতে না পেরে বৃহস্পতিবার স্বামী মাঠে কাজ করতে গেলে গৃহবধূর তার পাঁচ বছরের ছেলে হাসানুর রহমান বান্নাকে ঘাস মারার বিষ খাইয়ে নিজেও বিষ পান করেন।
বিষয়টি পরিবারের স্বজনদের মধ্যে জানাজানি হলে স্বজনরা দ্রুত উদ্ধার করে যশোর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. ওবাইদুল কাদের উজ্জল শিশু ছেলে ও গৃহবধূর শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার করেন।
দেবরের বাজে কথায় মা ছেলের আত্নহত্যার চেষ্টা
মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. ওবাইদুল কাদের উজ্জল জানান, মা ও শিশুর শরীরের ৫০ ভাগ বিষ ছড়িয়ে গেছে। ফলে রোগী স্থানী চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
