ধর্ম মানুষকে সকল অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে…. জনপ্রশাসন সচিব শেখ হারুন

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥  জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যে ফাউন্ডেশনের আওতায় মসজিদ ভিত্তিক পাঠাগার, ইসলামিক মিশন হাসপাতাল, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ও ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী সহ বহুমূখী কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ সব কর্মসূচির মাধ্যমে শিশু-কিশোররা ইসলামিক জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ পাচ্ছে। দুস্থ ও অসহায় মানুষ বিনা পয়সায় সেবা পাচ্ছে এবং ইমামদের মধ্যে দক্ষতা বৃদ্ধি হচ্ছে।

জনপ্রশাসন সচিব আরো বলেন, ধর্ম মানুষকে সকল অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। সমাজ থেকে সামাজিক অবক্ষয়রোধ ও কুসংস্কার দূর করার জন্য ধর্মীয় শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিটি ধর্মেই সত্য ও কল্যাণের কথা উল্লেখ রয়েছে। এজন্য আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা উচিৎ। শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ধর্মীয় শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে নানামূখী পদক্ষেপ নিয়েছে। যার অংশ হিসেবে দেশের প্রতিটি উপজেলায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নেও সরকার বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, সরকার ধর্ম নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে বলেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বাংলাদেশ বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বর্তমান সারাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন হচ্ছে এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এটি অনন্য একটি উদাহারণ উল্লেখ করে তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখার মাধ্যমে সমাজ থেকে অন্যায়, অত্যাচার, অপরাধ ও অপশক্তি দূর করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি রোববার দুপুরে শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার হিতামপুর শেখপাড়া জামে মসজিদ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন কালে এসব কথা বলেন। পরে তিনি উপজেলা সদরে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি সেবার মানসিকতা নিয়ে প্রশাসনিক কাজকে গতিশীল ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম, উপজেলা প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বানু ডলি, ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জুনায়েদুর রহমান, অধ্যক্ষ শেখ ফারুক উদ্দীন, অধ্যাপক সেখ রুহুল কুদ্দুস,

উল্লেখ্য, সচিবের নানাদের দানীয় সম্পত্তির ওপর এলজিইডি ও এলাকাবাসীর অর্থায়নে নির্মাণাধীন মসজিদটি নির্মিত হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here