১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

শরীরে ধস্তাধস্তির চিহ্ন না থাকায় ধর্ষণ মামলার আসামি খালাস

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
জানুয়ারি ২৯, ২০২১
156
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
ধর্ষণের আসামি বেকসুর খালাস
প্রতিকী ছবি | ছবি : ধর্ষণের আসামি বেকসুর খালাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  শরীরে ধস্তাধস্তির কোনো চিহ্ন না থাকায় দুজনের সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে বলে মত দিয়েছেন আদালত। আর এই যুক্তিতে ধর্ষণের দায়ে শাস্তি পাওয়া এক আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন ভারতের মুম্বাই হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের বিচারক পুষ্পা গানেদিওয়ালা। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।

শিশুদের যৌন নির্যাতনের সংজ্ঞা নিয়ে এই নারী বিচারপতির একটি পর্যবেক্ষণ ও রায়ের ওপর কয়েকদিন আগেই স্থগিতাদেশ জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। তারপর আবার সামনে এল এই রায়।
আরওপড়ুন>>>এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামীকাল

গানেদিওয়ালা তার পর্যবেক্ষণে বলেন, মেডিকেল রিপোর্টেও ধস্তাধস্তির কোনো চিহ্ন মেলেনি। তা সত্ত্বেও অভিযুক্তের পক্ষে একই সময়ে তার নিজের জামাকাপড় খুলে, অন্য কারও জামাকাপড় খুলিয়ে তাকে ধর্ষণ করা আদৌ সম্ভব নয়। দুজনের সম্মতিতেই হয়েছে ওই শারীরিক সম্পর্ক।
আরওপড়ুন>>>সিলেটে সড়ক ও সৌন্দর্য বর্ধনসহ উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করলেন দুই মন্ত্রী

এর আগে বিশেষ শুনানি আদালতে এই মামলায় অভিযুক্তকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

পরে ২৬ বছর বয়সী ওই অভিযুক্ত সুরজ কাসারকার তার কারাদণ্ডের আদেশ পুনর্বিবেচনার মুম্বাই হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চে আর্জি জানিয়েছিল।

আদালত জানান, ওই বছরের ২৬ জুলাই ভুক্তভোগীর মা তার মেয়েকে পুলিশের কাছে নিয়ে যান। থানায় দায়ের করা অভিযোগে ভুক্তভোগীর বয়স ১৫ বছর লেখা হয়েছিল। কিন্তু ঘটনার সময় নির্যাতিতা প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন না এমন প্রমাণ আদালতের কাছে নেই।
আরওপড়ুন>>>স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সহযোগিতার সম্পর্ক জোরদার করবে ঢাকা-দিল্লি

এর আগে বিশেষ শুনানিস্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সহযোগিতার সম্পর্ক জোরদার করবে ঢাকা-দিল্লি আদালত অভিযুক্তকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিলেও অভিযোগের নথিতে নির্যাতিতার বয়স নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চে শাস্তি মওকুফের আর্জি জানিয়েছিল অভিযুক্ত।

মামলায় অভিযোগে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২৬ জুলাই রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছিল। ওই সময় ভুক্তভোগীর মা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন। তার ভাই মেঝেতে ঘুমাচ্ছিলেন। সেই সময় প্রতিবেশী সুরজ মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে তার মুখ চেপে ধরেন। তিনি নিজের জামাকাপড় খুলে, তারপর নির্যাতিতার জামাকাপড়ও খুলে দেন। তারপর তাকে ধর্ষণ করে নিজের জামাকাপড় নিয়ে চলে যান। মা বাড়িতে ফিরে আসার পর ভুক্তভোগী তাকে এই ঘটনা জানান। তার পর মা তাকে পুলিশের কাছে নিয়ে যান।
আরওপড়ুন>>>নড়াইলের কালিয়ায় অবশেষে মেয়র প্রার্থীতা প্রত্যাহার

বিচারপতি গানেদিওয়ালা বলেছেন, অভিযোগকারীর এই বয়ান বিশ্বাসযোগ্য নয়। তিনি ঘটনার সময় প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন না, এমন কোনো প্রমাণ আদালতে দাখিল করা হয়নি। তাই এই ঘটনা দুজনের সম্মতিতেই ঘটেছিল, এমনটা না ভাবার কোনো কারণ নেই।

মা না নিয়ে গেলে পুলিশে অভিযোগ করতাম না, ভুক্তভোগীর এমন বক্তব্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গানেদিওয়ালা

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram