বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে বসেছে দুই বাংলার ভাষাপ্রেমীদের মিলন মেলা
প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১
123
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :

| ছবি :
নয়ন হালদার, বেনাপোল যশোরঃ ”আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অমর হোক-বিশ্ব জুড়ে বাংলা ভাষা চালু হোক” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে কেবলমাত্র ভাষার টানে দুই বাংলার মানুষ বেনাপোল চেকপোস্ট নোম্যান্সল্যান্ডে জড়ো হয়।
আরও পড়ুন >>>নানা আয়োজনে যবিপ্রবিতে মাতৃভাষা দিবস পালন
অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি যৌথভাবে সম্মান জানানো হয়।
ফুলে ফুলে ভরে যায় সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ বেদি।
আরও পড়ুন >>>যশোর সরকারি মহিলা কলেজে শহীদ মিনার উদ্বোধন
মিষ্টি বিতরণ,আলোচনা আর গানে গানে মাতোয়ারা হলো নোমান্সল্যান্ড।বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো শত:স্ফূর্তভাবে অংশ নেয় এ অনুষ্ঠানে।
দুই দেশের জাতীয় পতাকা, নানা রং এর ফেস্টুন, ব্যানার, প্লেকার্ড, আর ফুল দিয়ে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় নোম্যান্সল্যান্ড এলাকা।
রোববার (২১ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯ টায় বেনাপোল চেকপোস্ট নোম্যান্সল্যান্ডে নির্মিত অস্খায়ী শহিদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী শ্রী জ্যোতি প্রিয় মল্লিক ও বাংলাদেশের স্থাণীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্রাচায্য, যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন।
আরও পড়ুন >>>নড়াইলে কুড়িরডোব মাঠে জ্বলবে লাখো মোমবাতি
ভারতের পক্ষে বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, প্রাক্তন সাংসদ শ্রীমত্য মমতা ঠাকুর, বিধায়ক সুরজিত বিশ্ব,বিধায়ক পুলিণ বিহারী রায়,পুলিশ সুপার তরুন হালদার, শ্রী প্রেম বিভাষ কাশারী ও বনগাঁ পৌর মেয়র শংকর আঢ্য ও
বাংলাদেশের পক্ষে কাস্টমস কমিশনার মো: আজিজুর রহমান,২১ উদযাপন কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিয্দ্ধোা সিরাজুল হক মঞ্জু ও সচিব শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন -সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল উপস্থিত ছিলেন।
ভারত থেকে আসা শতশত বাংলা ভাষী মানুষ বাংলাদেশিদের ফুলের পাঁপড়ি ছিটিয়ে ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করে নেয় একে অপরকে।
নোমান্সল্যান্ডে অস্থায়ী শহীদ বেদীতে প্রথম ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান উভয় দেশের জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি কর্মকর্তার।
তবে এবার বাংলাদেশ অংশে কোন অনুষ্ঠান হয়নি।বাংলাদেশে থেকে ১০০ জন প্রতিনিধি অংশ গ্রহন করেন নোমান্সল্যান্ডে ভারতীয় একুশের অনুষ্ঠানে।
পরে নোমান্সল্যান্ড এলাকায় বেলী ফুলের চারা রোপন করেন দু’দেশের অতিথিরা।
বেনাপোল পেট্রাপোল চেকপোস্টে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবি ও বিএসএফ অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করে দুই সীমান্তে।
সীমান্ত টপকে যাতে কেউ অবৈধভাবে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবি ও বিএসএফ বাঁশের বেষ্টনি দিয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলে।
গরম খবর