লোহাগড়ায় গৃহবধূকে বেধড়ক মারপিট
রাশেদ জামান, লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধিঃ নড়াইলের লোহাগড়ায় একজন গৃহবধূকে বেধড়ক মারপিট করে বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার দুপুরে ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা গ্রামে। ওই গৃহবধূ লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্যা কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত গৃহবধূ অজিফা বেগম (৪০) কুমারডাঙ্গা গ্রামের চুন্নু শেখের স্ত্রী। তিনি জানান, একই গ্রামের মুসা শেখের ছেলে ইমদাদুলের ছাগলে অজিফার জমির ক্ষেতের ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে পরের দিন ইমদাদুলের নেতৃত্বে তার ভাই জাকির, ছেলে রিয়াজ ও আমির শেখের ছেলে হ্নদয়সহ ৮ থেকে ১০ জনের একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট ও ভাংচুর করে নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিষপত্র লুট করে।
স্থাানীয়রা মূমুর্ষ অবস্থাায় অজিফাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্যা কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এঘটনায় তার স্বামী চুন্নু শেখ লোহাগড়া থানায় মামলা করতে গেলে ওসি তার স্বামীকে আটকিয়ে ভয়ভীতি দিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে মিমাংসার পরামর্শ দেয়। খোজ নিয়ে জানা যায়, ইমদাদুল এলাকায় মোটা অংকের অর্থ লগ্নি করে সুদের কারবার করে। সুদের টাকা আদায়ে তার রয়েছে নিজস্ব গুন্ডা বাহিনী। গ্রামের লোকজন তার ভয়ে তটস্থা। কেউ মুখ খোলেনা। গত বুধবার (২৮ অক্টোবর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্যা কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় অজিফা বেগম মহিলা ওয়ার্ডের এক নম্বর সিটে শুয়ে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে।
তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা গরীব মানুষ, তাই আমারা বিচার পাই না। লোহাগড়া থানার সিআই (ওসি) সাব মামলা না নিয়ে উল্টো তার স্বামীকে আকটাইছেলো। পরে সাদা কাগজে সই নিয়ে ছাড়ছে। তিনি আরও বলেন, গত ৬ আগষ্ট ইমদাদুলসহ তার গুন্ডারা তাকে মারপিট করে। ওই ঘটনায় তিনি লোহাগড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগটি এএসআই পদমর্যাদার একজন পুলিশ অফিসার তদন্ত করলেও অজ্ঞাত কারনে আলোর মুখ দেখেনি।
লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্যা ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শরীফ সাহাবুর রহমান জানান, অজিফা বেগম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তার মাথায় দুই সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য ও এক সেন্টিমিটার প্রসস্থা ক্ষত এবং গায়ে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে এখন তিনি শংকামুক্ত।
লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন এ বিষয়ে তিনি কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্হা নিবেন।