আমি পদত্যাগ করতে প্রস্তুত:নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার

ডেক্স রিপোর্ট: নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, আমি পদত্যাগ করলে যদি লাভ হয়, দেশের যদি কোনো উপকার হয়, তাহলে আমি যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে প্রস্তুত।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি ৪২ নাগরিকের পক্ষ থেকে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন>>>শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক কারাগারে
মাহবুব তালুকদার বলেন, এই দাবিটা সম্ভবত আমাদের কাছে নয়, এটা অন্যত্র দাবি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটা কথা আছে। আমরাতো একটা প্রসেসের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনার হয়েছি। এখন যদি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল আমাদের ব্যাপারে গঠিত হয় আমাদের কোনোকিছু বক্তব্য তো নেই। ঠিক না? আর একটা প্রসেসের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হওয়ার পরে আমি পদত্যাগ করে ফেললাম, এটা কোনো বিষয় হয় না।
তিনি বলেন, আমি এই পর্যন্ত তিনবার পদত্যাগের অনুরোধ পেয়েছি। এখন কতবার পদত্যাগ করবো। সেটাও একটা প্রশ্ন।
এর আগে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার চার বছর পূর্তি উপলক্ষে তিনি একটি লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাংবাদিকদের কাছে।
আরও পড়ুন>>>ময়মনসিংহের ত্রিশালে তৃতীয়বারের মতো স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত
এতে মাহবুব তালুকদার বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের আজ ৪ বছর পূর্ণ হলো। পেছনের দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছে আমাদের আত্মবিশ্লেষণ প্রয়োজন। প্রায় সব নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে আমরা তৃপ্তি বোধ করি। কিন্তু নির্বাচন বিষয়ে আমাদের সব দাবি জনগণের উপলব্ধির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। কেবল রাজনৈতিক দল নয়, নীরব জনগোষ্ঠীর অশ্রুত ভাষা শ্রবণের প্রচেষ্টা থাকা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বর্তমানে নির্বাচন এককেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। এককেন্দ্রিক নির্বাচন বহুদলীয় গণতন্ত্রের উপাদান হতে পারে না। যেহেতু নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না, সেহেতু নির্বাচনের প্রতিটি আইনকানুন ও আচরণবিধি কঠোরভাবে পালনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে পরিপালন ও সংরক্ষণ করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, আগামী মে মাস থেকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে ব্যাপক পরিসরে কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনেও সহিংসতার আশঙ্কা করি। আচরণবিধি লঙ্ঘন ও হানাহানি বর্তমানে নির্বাচনের অনুসঙ্গ হয়ে গেছে। কোনো অনভিপ্রেত ঘটনাই বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার উপায় নেই।
আরও পড়ুন>>>নড়াইলে শুরু হলো জাতীয় নারী হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা
কারণ কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা মিলে একটি অবিচ্ছিন্ন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তাই প্রাণহানীর অভিশাপ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষার পথ অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের উদ্যোগ কেন কার্যকর হচ্ছে না, তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ আবশ্যক।