পরিবহন ও ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে সবজি ও ঝালের দাম বৃদ্ধি
![](https://www.shadhinkantho.com/wp-content/uploads/2020/10/image-66037-1553251992.jpg)
এস এম মারুফ স্টাফ রির্পোটার: যশোরের শার্শা বেনাপোল ঝিকরগাছায় পরিবহন ও ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে সবজি ও ঝালের দাম অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি। যাহা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা একেবারে নাগালের বাইরে।
গত মার্চ মাস থেকেই করোনার কারণে কর্মহীন অনেক মানুষ। বেসরকারি সেক্টেরের অনেক সেক্টরেই চাকরি হারিয়েছেন অনেকে। এছাড়াও ছোট ও মধ্যম মানের ব্যবসায়ীদেরও ব্যবসা কম।
অসহায় স্থবিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে নতুন স্বাভাবিক পৃথিবীতে মানুষের জীবন। এদিকে দ্রব্যমূল্যের বাজারেও আগুন। সম্প্রতি কাঁচা বাজারে ঢোকাটাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জন্য।
সরেজমিনে জানা যায়, সব ধরনের সবজির দামের পাশাপাশি লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। চার থেকে পাচ দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম ২৫০ শত টাকায় পৌঁছেছে।
এই সময়ে মরিচের দাম প্রতি কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ১০০ টাকা এবং সব ধরনের সবজির দাম ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ থাকলেও বৃদ্ধি পেয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব সবজির দাম। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণেই এটি হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
রবিবার (১১ অক্টোবর) শার্শা বেনাপোল ঝিকরগাছা বিভিন্ন বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ২৫০ টাকা, বেগুন ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, খিরই ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, উচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, কাঁকরল ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অথচ ৩ থেকে ৪দিন আগে কাঁচা মরিচ ১৫০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, খিরই ৩০ থেকে ৩২ টাকা, টমেটো ৮০/৯০ টাকা, ঝিঙে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৩২ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ২২ টাকা, আলু ৩৪/৩৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, উচ্ছে ৬০ টাকা, করলা ৪৫থেকে ৫০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, কাকরল ৫০ থেকে ৫২ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫ থেকে ২৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।
তবে সপ্তাহ খানেক আগেও এসব পণ্যের দাম ছিল খুবই স্বাভাবিক। একেবারেই হাতের নাগালে।
শনিবার সকালে শার্শা ও বাগআঁচড়া বাজারে আসা ক্রেতা মুনসুর মিয়া এবং শহীদুল বলেন, ‘করোনার সময়ে অধিকাংশ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। ফলে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ পড়েছে বিপাকে। দাম যাতে শিগগির নিয়ন্ত্রণে আসে এজন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বেনাপোল বাজারে আসা ক্রেতা শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘সবজির বাজার বেসামাল অবস্থা। ঝিকরগাছা শংকরপুর ফেরিঘাট বাজার কমিটির সভাপতি জাহিদ হাসান পলাশ বলেন তিন-চার দিনের মধ্যে কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি কমপক্ষে ৮০ থেকে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে সব ধরনের সবজির দামও। বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ।
অনেক ব্যবসায়ীরা জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ও এক শ্রেনীর অসাধু ব্যাবসায়ীদের কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় সবধরণের সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।’
একই ভাবে বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন হোটেলের মালিক ব্যাবসায়ীরা বলেন, ‘কাঁচা মরিচের পাশাপাশি সব ধরনের সবজির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।’ কিনে নিয়ে এসে বেচাকেনা করা খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়েছে। যাহা ভাাষায় বলে বুঝানো যাবেনা
শার্শা বেনাপোল ঝিকরগাছা উপজেলার বিভিন্ন বাজার সরাজমিনে পর্যাবেক্ষনে গিয় শুুুনে বুঝে দেখা যায় যে বা ব্যাবসায়ী ক্রেতা বিক্রেতা বলনে পরিবহন ও ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজি করে সবজি ও ঝালের দাম বৃদ্ধি করে বাজার টাকে অস্তিথিশিল করে তুলেছে।
তবে এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল জানান, দেশে এবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি। এতে সবজিসহ তরিতরকারির ক্ষেত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এজন্য ব্যবসায়ীরা বাইরের জেলা থেকে এসব সবজি ও ঝাল ক্রয় করে আনছে। পরিবহন ভাড়া বেশি হওয়ার কারণে সবজি ও ঝালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।