বাজারে আসছে পরীক্ষাগারে তৈরি কৃত্রিম মুরগির মাংস
ডেস্ক রির্পোট: বিশ্বে এই প্রথম গবেষণাগারে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি মুরগির মাংস খাওয়ার অনুমতি দিয়েছে কোন দেশ। জবাই করা কোনও মুরগীর মাংস নয়! বরং গবেষণাগারে তৈরি ‘মুরগীর মাংস’ মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে সিঙ্গাপুর।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্ট্যার্টআপ প্রতিষ্ঠান ‘ইট জাস্ট’-এর তৈরি ‘চিকেন বাইটস’ সিঙ্গাপুরের খাদ্য সংস্থার (এসএফএ) নিরাপত্তা পর্যালোচনায় পাস করেছে।
ফলে ভবিষ্যতে জীবিত প্রাণী হত্যা না করেই, মাংস উৎপাদনের দরজা খুলে গেল বলে দাবি করেছেন গবেষকরা।
ইট জাস্ট জানিয়েছে, তাদের গবেষণাগারে তৈরি মাংস ‘চিকেন নাগেটস’ তৈরিতে ব্যবহৃত হবে।
তবে কবে নাগাদ সেগুলো বাজারে পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।
সিঙ্গাপুরের এসএফএ জানিয়েছে, ইট জাস্টের তৈরি কৃত্রিম মুরগির মাংসে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি পর্যালোচনা করেছে তাদের বিশেষজ্ঞ দল। ওই মাংস ব্যবহারযোগ্য নিরাপদ বলে জানিয়েছে তারা।
ইট জাস্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের তৈরি কৃত্রিম মাংসে কোনও অ্যান্টিবায়োটিকস ব্যবহৃত হয়নি।
আর এতে প্রকৃত মুরগির মাংসের তুলনায় কম মাইক্রোবায়োলজিক্যাল উপাদান রয়েছে।
বারক্লেস-এর তথ্যমতে, বর্তমানে বৈশ্বিক মাংস শিল্পের বাজার প্রায় ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের।
আগামী এক দশকের মধ্যে এর ১০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ১৪০ বিলিয়ন ডলারের বাজার দখল করতে পারে কৃত্রিম মাংস।
বিশ্বে কৃত্রিম মাংস তৈরির প্রক্রিয়া অবশ্য এটাই প্রথম নয়। বিয়ন্ড মিট, ইম্পসিবল ফুডের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো আগে থেকেই প্ল্যান্ট-ভিত্তিক মাংস উৎপাদন করছে।
তবে ইট জাস্টের মাংস প্ল্যান্ট-ভিত্তিক নয়, এটি তৈরি হচ্ছে প্রাণী কোষ থেকে।
সিঙ্গাপুরে গবেষণাগারে তৈরি মাংস অনুমোদন পাওয়ার ঘটনাকে বৈশ্বিক খাদ্য শিল্পের জন্য বড় মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছে উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ইট জাস্ট।
আরো পড়ুন:
দু’পক্ষের হানাহানিতে প্রান গেল ৪ বছরের শিশুর
ইসলামে ভাস্কর্য হারাম নয় : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী মোজাম্মেল হক