প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বাড়ী পেতে যাচ্ছে পাইকগাছার ৫১৭টি গৃহহীন পরিবার
শতভাগ সচ্ছতা নিশ্চিত করতে ইউএনও’র কঠোর নির্দেশনা
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ পাইকগাছার ৫১৭টি গৃহহীন পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বাড়ী
পেতে যাচ্ছে। গৃহ পাওয়ার জন্য কোন পরিবারকে যাতে হয়রানী হতে না হয় এবং এটাকে পুঁজি করে কেউ যাতে
কোন বাণিজ্য করতে না পারে এ জন্য সতর্ক রয়েছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করে গৃহ নির্মাণ কর্মসূচি দ্রুত
বাস্তবায়ন এবং এ কাজে সচ্ছতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ
আরাফাতুল আলম, ওসি এজাজ শফী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বিষ্ণুপদ বিশ্বাস, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস, ইউপি চেয়ারম্যান
কওছার আলী জোয়াদ্দার, রিপন কুমার মন্ডল, গাজী জুনায়েদুর রহমান, রুহুল আমিন বিশ্বাস, চিত্তরঞ্জন মন্ডল, উপজেলা প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান।
আরো পড়ুন: ঢাকায় আজ দুপুরের দিকে হঠাৎ ছয়টি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণাকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় অত্র উপজেলায় (ক) শ্রেণির তালিকা
অনুযায়ী ৫১৭টি গৃহহীন পরিবার বসবাসের জন্য পাকা ঘর পাচ্ছে। প্রতিটি ঘরের অনুকূলে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ কর্মসূচি স্থানীয় প্রশাসন বাস্তবায়ন করছে। তদারকি করছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি।
ইতোমধ্যে এ কর্মসূচির আওতায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুটি
ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যান ও অনেক ব্যবসায়ী নেতারা ঘর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানাগেছে। তবে প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে সরকারি জায়গা নির্ধারণ নিয়ে বিপাকে
রয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সরকারি জায়গা চিহ্নিত করতে ইউএনও ও এসিল্যান্ড প্রতিনিয়ত ছুটে চলেছেন উপজেলার এ প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে।
আরো পড়ুন: যশোরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে চাঁদা চেয়ে হুমকি
আবার এটাকে পুজি করে কেউ যাতে বাণিজ্য করতে না পারে সে বিষয়টিও মাথায় রেখে সতর্ক রয়েছে স্থানীয়
প্রশাসন। বিশেষ করে তালিকা প্রণয়ন থেকে শুরু করে গৃহ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত কোন পক্ষ যাতে
আর্থিক সুবিধা নিতে না পারে এবং উপকারভোগী গৃহহীন পরিবাররা যাতে হয়রানি কিংবা প্রতারিত না হয় ও
সচ্ছতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সঠিক ও মান সম্মত উপকরণ বজায় থাকে এ জন্য এ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট
যেমন, স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বর, ট্যাগ অফিসার ও তওসীলদারদের সাথে মতবিনিময় করেছেন ইউএনও এবিএম খালিদ হোসেন।
তিনি এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক এবং সচ্ছতার সাথে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। জনপ্রতিনিধি ও
সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি কাজের গুণগতমান বজায় রাখতে এবং সচ্ছতা নিশ্চিত করতে সার্বিক
মনিটরিং এর জন্য স্থানীয় ইমাম ও স্কুল শিক্ষকদের এ কাজে লাগানো হবে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানিয়েছেন।
পাইকগাছার ৫১৭টি গৃহহীন পরিবার/খুলনা