বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাঁসি
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ পাইকগাছায় চলতি মৌসুমে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে।
ইতোমধ্যে অনেক কৃষক ধান কাটতে শুরু করেছেন। ভাল ফলন হওয়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষতি কৃষকরা অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাইকগাছায় চলতি মৌসুমে পাইকগাছায় চলতি মৌসুমে
উপজেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর চলতি মৌসুমে ১৭ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেন। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১৭ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে উন্নত ও দেশীয় জাতের আমন ধানের চাষ হয়েছে।
উন্নত জাতের মধ্যে রয়েছে বিআর-১০, বিআর-১১, বিআর-২৩, ব্রী-ধান ৩৯, ব্রী-ধান ৪৯, ব্রী-ধান ৭৬, ব্রী-ধান ৭৩, বিনা-১৯, বিনা-০৭।
স্থানীয় জাতের মধ্যে রয়েছে, হরিভোগ, হরকোচ, জটাবালাম ও আশফাইল।
এ বছর পোকার আক্রমন দেখা দিলেও সঠিক সময়ে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের পোকা দমনে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা ও চাষীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাম্পার ফলন হয়েছে।
গোপালপুর গ্রামের কৃষক সলেমান মোড়ল জানান, চলতি মৌসুমে ৭ বিঘা জমিতে বিআর-২৩ ও ব্রী-ধান ৪৯ আবাদ করেছি। ভাল ফলন হবে বলে আশা করছি।
গজালিয়া গ্রামের আমন উল্লাহ ফকির জানান, ৬ বিঘা জমিতে বিআর-১০ ও ২৩ এবং ব্রী-ধান ৪৯ চাষ করেছি।
দু’একদিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু করবো। বিগত বছরের চেয়ে এ বছর আমনের ভাল ফলন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, কাইচ থোড় অবস্থায় আমন ফসলে পাতা মোড়ানো মাজরা ও গাছ ফড়িং পোকার আক্রমন হয়। পোকার উপস্থিতি টের পেয়েই সাথে সাথে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আলোকফাঁদ স্থাপনসহ পোকা দমনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং কৃষকদের নানাভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়। যার ফলে পোকায় ফসলের তেমন কোন ক্ষতি করতে পারেনি।
এলাকার সব খানেই এ বছর আমনের ভাল ফলন হয়েছে। আশা করছি হেক্টর প্রতি ৫.৭ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে।
আরো পড়ুন:
মানহীন ও নষ্ট সার বাজারজাত করছে নোয়াপাড়া গ্রুপ
ডোকলামের কাছেই গ্রাম তৈরি করছে চীন, চিন্তা বাড়ছে ভারতের
৭৩ বছরের ফুল হুজুর বিয়ে করলেন ২৩ বছরের মুরিদকে
মর্গের মৃত নারী ধর্ষক ডোম মুন্না গ্রেফতার
পৌরসভায় প্রথম ধাপের ভোট ইভিএমে
রক্ত দিয়ে ‘এ প্লাস আর’ লিখে যশোরে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা
শিশুদের বাঁচাতে করোনাকালে ৪২ লিটার বুকের দুধ দান করলেন এই নারী
হেমন্তের বৃষ্টিতে শীতকে নিমন্ত্রণ জানাল প্রকৃতি
