পাইকগাছায় সরবতের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ,ব্যবসায়ী আটক

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার পাইকগাছায় এক মৎস্য ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন>>>আন্তর্জাতিক নারী দিবসে করোনা কালে বিশেষ অবদান রাখায় নারীদের সংবর্ধনা
মামলা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার উত্তর সলুয়া গ্রামের মৃত রহিম বক্সের ছেলে মিজানুর রহমান (৪৫) পেশায় একজন মৎস্য ব্যবসায়ী। মাছ বিক্রি করতে গিয়ে পাশ্ববর্তী সোনাতনকাটী গ্রামের একটি পরিবারের সাথে ব্যবসায়ী মিজানুরের সম্পর্ক তৈরী হয়। সম্পর্কের সূত্রধরে ওই পরিবারের নবম শ্রেণি পড়ুয়া সুন্দরী মেয়েকে চাকুরীজীবী ছেলের সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখায় ব্যবসায়ী মিজানুর।
আরও পড়ুন>>>নড়াইলের কালিয়ার নড়াগাতীতে গাঁজাসহ আটক-১
এরই সূত্রধরে গত ৩ মার্চ বিকালে ওই পরিবারের বাড়ীতে গিয়ে স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ও তার মাকে ছেলে দেখানোর জন্য নিজের বাড়ীতে ডেকে নেয় ব্যবসায়ী মিজানুর। সেখানে মা ও মেয়েকে সরবতের (পানীয়) সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে দিলে তারা অচেতন হয়ে পড়ে।১ ঘন্টা পর মায়ের জ্ঞান ফিরে আসলে দেখে ওই বাড়ীতে ব্যবসায়ী মিজানুর এবং তার মেয়ে নাই।
আরও পড়ুন>>>খুলনা মহানগরীতে মশার যন্ত্রনা থেকে রক্ষা পেতে দিনেও মশারী
পরে বাড়ীতে গিয়ে বিষয়টি তার স্বামীকে জানাই। এর পরের দিন সকালে মেয়েটি কপিলমুনি বাজারের ধান্য মার্কেট এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে মেয়েটি তার পরিবারকে জানাই ব্যবসায়ী মিজানুর কয়রা এলাকায় অজ্ঞাত একটি বাড়ীতে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেছে।
এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে মিজানুরের বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছে।
এ ব্যাপারে ওসি এজাজ শফী জানান, মামলার আসামী ব্যবসায়ী মিজানুরকে আটক করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন চেয়ে আদালতে ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।