চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের ধাওয়ায় নদীতে ঝাঁপ; ২৬ ঘণ্টা পর মরদেহ উদ্ধার
জনি আহমেদ, চুয়াডাঙ্গাঃ সময় কিছুটা পার হলেও চুয়াডাঙ্গায় ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। পুলিশ অপরাধীর মধ্যে তৈরী হয় ফ্লিমসাইলের অভিযান। আর সে অভিযানে পুলিশের ধাওয়ায় কয়েকজন দৌড় দিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে প্রথমে ২জনকে আটক করা হয়। অপরদিকে, নাজিম উদ্দিন ও টোকন (৪৫) নামের দুইজন ব্যক্তি ধরা খাওয়ার ভয়ে ঝাঁপ দেন মাথাভাঙ্গা নদীতে। তবে নাজিম উদ্দিন সাঁতার কেটে ওপারে ওঠার পর হাটবোয়ালিয়া ক্যাম্প পুলিশের একটি দল তাকে আটক করতে পারলেও নদী থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় টোকন নামের ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন>>>ছাত্রলীগ নেতা তুহিন এর মৃত্যুবার্ষিকী
এদিকে, আটককৃতদের মধ্যে ২জন জুয়া খেলার সাথে সম্পৃক্ততা না থাকায় তাদেরকে স্থানীয় ইউপি সদস্য সুজনের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। তবে আটক রাখা হয় নাজিম উদ্দিনকে।
নিখোঁজ টোকন আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া নতুন পাড়ার মৃত ওদুছদ্দীনের ছেলে ও নাজিম উদ্দিন কারিগর পাড়ার মৃত সুন্নত আলীর ছেলে।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া কারিগর পাড়ায় জুয়া খেলা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় হাটবোয়ালিয়া ক্যাম্প পুলিশের একটি দল। সেসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৪ জন জুয়া খেলা অবস্থায় দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এর মধ্যে প্রথমে দুইজনকে আটক করলেও ধরা খাওয়ার ভয়ে মাথাভাঙ্গা নদীতে ঝাঁপ দেন টোকন ও নাজিম উদ্দিন। তবে নাজিম উদ্দিন সাঁতরিয়ে নদীর ওপারে উঠলে তাকে আটক করতে পারলেও অপরজন জুয়া খেলার পার্টনার টোকন নদী থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়।
গতকাল বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ চাঞ্চল্যকার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা পুরো জেলায় ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন ধরনের আলোচনা। সেসময়, এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা শোনার পর চুয়াডাঙ্গা সদর সার্কেলসহ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিখোঁজ টোকনের সন্ধানে আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে তলব করা হয়। সেসময় দিনভর নদীতে খোঁজাখুঁজি করেও কোন সন্ধান মেলেনা না টোকনের।
সে সময় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা থানার ওসি তদন্ত আব্দুল আলিম। তিনি জানান, ভাংবাড়িয়ায় জুয়া খেলা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে হাটবোয়ালিয়া ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে দু’জনকে আটক করে। অপর দু’জন মাথাভাঙ্গা নদীতে ঝাঁপ দেন। একজন নদী থেকে উঠলেও অন্য জনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।পরে তাকে উদ্ধার করতে গতকালই তলব করা হয় খুলনার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে।
পুলিশের ধাওয়ায় নদীতে ঝাঁপ
আজ বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) খুলনা থেকে ভোরের দিকে রওনা দেয় ৪/৫ সদস্যের ডুবুরি দল। সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে ঘটনাস্থল ভাংবাড়িয়া কারিগড় পাড়ায় টোকনের সন্ধান পেতে সকাল থেকে নদীতে শুরু হয় ডুবুরিদলের কার্যক্রম।
অবশেষে ৪/৫ ঘণ্টার ব্যবধানে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার আঠারখাদা গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
পুলিশের ধাওয়ায় নদীতে ঝাঁপ
সূত্রে জানা যায়, টোকনের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।