বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হলে বিশ্বে প্রথম প্রতিবাদ ইন্দিরাগান্ধী করেছিলেন
ডেক্স রিপোর্ট: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন। সে দিন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সহযোগিতা না পেলে মুক্তিযুদ্ধ দীর্ঘায়িত হতো।
আজ (৩১অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী স্মরণে বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তবে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ন্যায়সঙ্গত অধিকার বিশ্ববাসীর দরবারে তুলে ধরেছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় আশ্রয়, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছেন। এসব সহযোগিতা না পেলে মুক্তিযুদ্ধ দীর্ঘায়িত হতো।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতা ঘোষণা দেয়ার পরপরই গ্রেফতার করা হলে ইন্দিরা গান্ধী প্রথম বিশ্বনেতা যিনি এর প্রতিবাদ করেছিলেন। সীমান্ত খুলে দিয়ে প্রায় ১ কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দেন। তিনি বাঙালিদের পূর্ণ মর্যাদা ও নাগরিক অধিকার দিয়ে বাংলাদেশ ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রের সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল। ইন্দিরা গান্ধী সারা পৃথিবীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশকে সমর্থন করেন। বাংলাদেশের জনগণ মহান মুক্তিযুদ্ধে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে।
নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক নিম চন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সালাউদ্দীন প্রমুখ।