'বাঘারপাড়ায় বোমা-সন্ত্রাস শুরু করেছে নৌকার প্রার্থী'
নিজস্ব প্রতিনিধি: যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে ফাঁকা মাঠে জয় পেতে নৌকার প্রার্থী পুরো উপজেলায় আতঙ্ক সৃষ্টিতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে। এইজন্য তারা বৃহস্পতিবার (৩ ডিসম্বের) রাত থেকে বিভিন্ন এলাকায় বোমাবাজি শুরু করেছে। এর মাধ্যমে তারা চর দখলের মতো ভোটের মাঠ দখল করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শামসুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী কার্যক্রম শুরুর পর নৌকা প্রতীকের লোকজন ৫ ডিসেম্বরের পর থেকে মাঠ দখলের আলটিমেটাম দিয়েছিল। তারা ঘোষণা দিয়েছিল ৫ তারিখের পর ভোটের চিত্র বদলে দেবে। যার আলামত ৪ ডিসেম্বর রাত থেকে শুরু হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বোমাবাজি করে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে তারা। বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, এর আগে ধানের শীষের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। ধানের শীষের একাধিক অফিসে নৌকার পোস্টার টানিয়ে দেয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। বেশ কয়েকটি নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়। এসব অভিযোগ সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে করা হলেও কোনো প্রতিকার তারা পাননি। উল্টো ওইসব ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের আটক করা হচ্ছে। এমনকি আওয়ামী লীগ ও তার বিদ্রোহী প্রার্থীরা নিজেরা হামলা-পাল্টা হামলা ঘটালেও মামলা হচ্ছে বিএনপি কর্মী সমর্থকদের নামে।
এমন পরিস্থিতি থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে দাবি করেন বিএনপির প্রার্থী শামসুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ ভোট হলে বিএনপি প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত। এটা জেনেই পরিবেশ অশান্ত করে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নৌকা মার্কার প্রার্থী জয়ী হতে চাইছেন। আমরা সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ ভোট চাই। এজন্য প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহবান জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক নার্গিস বেগম, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য আব্দুস সালাম আজাদ, বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, আব্দুল হাই মনা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।