বেগুন চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন কৃষক সাইদুলের
এ রহমান, ঝালকাঠিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরের বড় কৈবর্তখালি গ্রামের কৃষক মোঃ সাইদুলের বেগুন ক্ষেত এখন ফুলে ফুলে ভরে গেছে। সাইদুল রোদে পুড়ে অনেক কষ্ট করে তৈরী করেছেন বেগুন ক্ষেত।
বেগুনের গাছ গুলি বেশ মোটাতাজা এবং খুবই ভালো হয়েছে। সাইদুল আশায় বুক বেধে আছেন কোন দুর্যোগ বা পোকা-মাকড়ের আক্রমণ না হলে প্রচুর ফলন পাবেন তিনি। বাজারে বেগুনের দামও ভালো এবং বর্তমান রমজানের ইফতারির বেগুনিতে তার বেগুনের চাহিদাও থাকবে বেশ ভালোই।
আরও পড়ুন>>>যশোরে একাধিক ছেলের সাথে সম্পর্ক আছে সন্দেহে প্রেমিকাকে খুন
তাই কৃষক সাইদুল আশা করছেন বেগুন বিক্রি করেই তার ভাগ্য বদলে যেতে পারে।
বিগত ১০ বছরের অধিক সময় থেকে কৃষি কাজ করে জীবন যাপন করে আসছেন তিনি। তিনি ইতিমধ্যেই ভালো কৃষক হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে তার নিজ এলাকায়।
সাইদুল জানান, সে প্রায় ত্রিশ শতাংশ জমিতে কৃষি ক্ষেত তৈরী করেছেন। এতে বেগুন চাষের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসাবে আলু, শরিষা, ধনিয়া ও শসা চাষ করেছেন। ওই ক্ষেত থেকে এবছর তিনি লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করতে পারবেন বলে আশাপ্রকাশ করছেন।
বেগুন চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন
তিনি আরো বলেন, আগে আমি অল্প জায়গায় কৃষি চাষ করতাম, বেশীর ভাগ জমিতে ধানচাষ করতাম। কিন্তু কৃষি চাষ করে অল্প সময় বেশী অর্থ উপার্জন করা যায়। তাই আমি এবছর বেশী জমিতে কৃষি চাষ করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমি রাজাপুর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোন ধরনের কৃষি সহায়তা পাইনা। আমি ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে এই পেশায় জড়িত আছি। কৃষি অফিস থেকে সার, বীজ ও পরামর্শ পেলে আমার কৃষি দিয়ে এলাকার চাহিদা মিটিয়ে এলাকার বাইরেও সরবরাহ করতে পারবো।
বেগুন চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন
এ বিষয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজুল্লাহ বাহাদুর বলেন, প্রান্তিক কৃষকদের সহায়তা ও প্রণোদনা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দেয়া হয়। এছাড়াও ওই কৃষক আমাদের অফিসে যোগাযোগ করলে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।