বেপরোয়া হয়ে লুটপাটে মেতেছে আওয়ামী সিন্ডিকেট: রিজভী
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেটরা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে লুটপাটে মেতে উঠেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন চাল, ডাল, তেল, চিনি, শাকসবজি, মাছ—মাংসসহ সব জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে ঊর্ধ্বশ্বাসে।দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে মানুষ এখন মাছের কাঁটা কিনে খাচ্ছে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, মুরগির বদলে মুরগির চামড়া ও ঠ্যাং কিনে খাচ্ছে। শুধু সরকারি দলের সিন্ডিকেটের কারণে এই ভরা মৌসুমে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। জনস্বার্থের কথা বিবেচনায় না নিয়ে এর মধ্যে বেশ কয়েকবার বেআইনিভাবে বাড়ানো হয়েছে, গ্যাস—বিদ্যুৎ ও পানির দাম। আর বাড়িভাড়া বৃদ্ধি হচ্ছে জ্যামিতিক হারে। বাড়িভাড়া বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালা নেই। অথচ সচিবরা ডুপ্লেক্স বাড়িতে থাকেন মাসিক মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা ভাড়ায়।
দেশে সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টান্তহীন নৈরাজ্য চলছে মন্তব্য করে বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আবারও ক্ষমতা দখলের পর দেশজুড়ে বেপরোয়া দখলবাজি চলছে। দখলকৃত সম্পদ ভাগাভাগি করতে গিয়ে নিজেরা নিজেদেরকে হত্যা করছে। যার প্রমাণ কুড়িগ্রাম ও কুমিল্লাসহ সারা দেশে ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে আওয়ামী লীগ নেতারা খুন হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা নেমে পড়েছেন বেপরোয়া নারী ও শিশু নির্যাতনে। একটি গণমাধ্যমের মতে শিশু নির্যাতনে ৭৬ শতাংশ শিশুই যৌন নির্যাতনের শিকার। বিরোধীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার, ব্যাপকভাবে নির্যাতন, নারকীয় অত্যাচারের পাশাপাশি জনপদের পর জনপদে আধিপত্য বজায় রাখতে চলছে গণধর্ষণ এবং বেছে বেছে খুন। ফলে সমাজের ওপর নেমে এসেছে এক ভয়াল আতঙ্ক, উদ্বেগ ও বিপদের ছায়া।
বিএনপির আন্দোলনের বিষয়ে রিজভী বলেন, এক দফার আন্দোলন চলছে, চলবে। বহু মৃত্যুঞ্জয়ী সংগ্রামের ঐতিহ্যবাহী দল বিএনপি। জনগণের সংগ্রামী ঐক্য, সংকল্প ও বীরত্বকে সঙ্গে নিয়ে দখলদার আওয়ামী সরকারের পতন নিশ্চিত করে এক দফার আন্দোলন বিজয়ের পথে ধাবিত হচ্ছে। যে রাজনৈতিক জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে সেটিকে শেখ হাসিনা দমিয়ে রাখতে পারবে না। জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, ডা. আবদুল কুদ্দুস, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, জেড মোর্তুজা চৌধুরী তুলা, আমিনুল ইসলাম, তরিকুল আলম তেনজিং, মৎস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, অধ্যাপক ইমতিয়াজ বকুল প্রমুখ।