ডেক্স রিপোর্ট: কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকা উচিত তবে সীমা লঙ্ঘন করা উচিত নয়। গত(৩০অক্টোবর) শুক্রবার এ বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।
ট্রুডো বলেন সাম্প্রতিক সময়ে ফ্রান্সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ব্যাঙ্গাত্নক কার্টুন প্রদর্শনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রুডো বলেন, মত প্রকাশের ক্ষেত্রে অবশ্যই সীমারেখা থাকা উচিত এবং তা লঙ্ঘন করা উচিত নয়। আমাদের অন্যদের প্রতি সম্মান জানাতে হবে। আমরা সমাজ ও পৃথিবীতে যাদের সঙ্গে সব কিছু ভাগাভাগি করে থাকছি তাদের নির্বিচারে এবং অপ্রয়োজনে আঘাত হানা মোটেও উচিত নয় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, জনাকীর্ণ কোনো সিনেমা হলে আক্রমণ করার কোনো অধিকার আমাদের নেই। সবকিছুরই একটা সীমা রয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
বহু মতামত, ভিন্ন ভিন্ন আদর্শ এবং সম্মানজনক সামাজিকতার বিষয়টি উল্লেখ করে ট্রুডো বলেন, আমরা যেসব কথা বলি, অন্যদের প্রতি যে আচরণ করি, বিশেষ করে সেসব সম্প্রদায় ও জনগোষ্ঠী যাদের ভয়াবহ বৈষম্যের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের প্রতি এর প্রভাব সম্পর্কে আমরা নিজেদের কাছে দায়বদ্ধ।
সাম্প্রতিক সময়ে ফ্রান্সের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার নিন্দাও জানিয়েছেন ট্রুডো।
গত বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলের একটি গির্জায় তিনজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। তিউনিসিয়ার এক ব্যক্তি ওই হামলা চালিয়েছে। ইতোমধ্যেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর প্যারিসের উপকণ্ঠে দেশটির এক স্কুল শিক্ষকের শিরশ্ছেদ করে ১৮ বছর বয়সী এক কিশোর। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিতর্কিত কার্টুন শিক্ষার্থীদের প্রদর্শনের কারণে ক্ষুব্ধ ওই কিশোর স্কুল শিক্ষককে হত্যা করেন।
পরে ফ্রান্সের সরকার ওই স্কুল শিক্ষককে দেশটির সর্বোচ্চ মরণোত্তর পদকে ভূষিত এবং বিভিন্ন ভবনের গায়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিতর্কিত সেই কার্টুনের প্রদর্শন শুরু করে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই কার্টুনের প্রদর্শনের ব্যবস্থার নির্দেশ দেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের এমন ইসলাম অবমাননাকর বক্তব্যের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্ব ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। বিভিন্ন মুসলিম দেশ ফরাসি পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে এবং ম্যাক্রোঁকে তার ইসলাম-বিদ্বেষী বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে ফ্রান্সের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
