মনিরামপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় হ্যাকারদের আদালতে স্বীকারোক্তি
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুরে এসিল্যান্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হ্যাক করার অভিযোগে আটক দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আটককৃতরা হলেন, মণিরামপুর উপজেলার শাহিন আক্তারের ছেলে জিএম তাহসিন হামিম ও একই এলাকার এম এ খালেকের ছেলে ফারদিন আহসান বাধন।
অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহম্মেদ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত বছর ২৯ মার্চ উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার প্রল্লার্দ দেবনাথ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মণিরামপুর থানায় সরকারী ওয়েব পোর্টাল হ্যাক করে বিতর্কিত ছবি ও লেখা প্রকাশ করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সাইবার পুলিশ সেন্টার ঢাকার উপ পুলিশ পরিদর্শক আলফাজ হোসেন। মামলা তদন্তেকালে গত ৪ জানুয়ারী মণিরামপুর উপজেলার দক্ষিণমাথা পুরানো বাসস্টান্ড এলাকা থেকে প্রথমে নিজ বাড়ি থেকে তাহসিন হামিমকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে সে মেইল তৈরী করে এবং বাধন ও ফরহাদের কাছে বিক্রি করে। পরে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে গরুরহাট মোড় নিজ বাসা থেকে বাধনকেও আটক করা হয়। এসয়ম তার ব্যবহৃত ডিজিটাল ডিভাইসে ৪শ’৫০ টি ফেসবুক আইডির ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। যা কি কাজে ব্যবহার করেন তার উত্তর দিতে ব্যর্থ হন বাধন। তাদের এ চক্রের সাথে আরো অনেকে জড়িত এবং তারা বিভিন্ন আইডি হ্যাক করে মানুষের কাছে অর্থদাবি করে বলে সিআইডি পুলিশের বিশেষ টিম দাবি করে। এরপর তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানান। একই আদালত আটক দুইজনের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করলে তারা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার বিষয় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি গ্রহন শেষে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। উল্লেখ, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় লোকসমাগম ঠেকাতে মনিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এ সময় তিন বৃদ্ধ ব্যক্তিকে কান ধরে দাঁড়িয়ে রাখা হয়। যার ছবি বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন সাইয়েমা হাসান। একপর্যায় তাকে প্রত্যাহার করে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। এঘটনায় এসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসানকে নিয়ে ফেইসবুকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা ও অফিশিয়াল ওয়েবসাইট হ্যাক করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুইটি মামলা করা হয়।