খুলনা পাইকগাছার কপিলমুনিতে মাকে বাঁচাতে ভ্যানচালক পুত্রের আকুতি

মাকে বাঁচাতে ভ্যানচালক পুত্রের আকুতি
ফাইল ফটো

শেখ খায়রুল ইসলাম, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ খুলনা পাইকগাছার কপিলমুনিতে মাকে বাঁচাতে করুন আকুতি জানিয়েছে এক অসহায় ভ্যান চালক আইয়ুব আলী সরদার। রোগে শোকে ক্লিষ্ট মৃত্যু পথযাত্রী সেই মাকে বাঁচাতে পিতৃহীন এই সন্তান নাওয়া খাওয়া ভুলে ছুটছে মানুষের দোয়ারে দোয়ারে।

উপজেলা হরিঢালী ইউনিয়নের উত্তর সলুয়া গ্রামের মৃত পুন্টে সরদারের স্ত্রী ছায়রা বিবি। নিজেদের জায়গা জমি নেই তাই গ্রামের অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে ছেলের সাথে থাকে। ছেলে আইয়ুব আলী একজন ভ্যান চালক। যা আয় হয় তাই দিয়ে পরিবারের পাঁচ জনের মুখে অন্ন জোটাতে হয় তার।

আরও পড়ুন>>>নরসিংদীতে সাংবাদিককে জবাই করে হত্যার হুমকি

এ বছর জানুয়ারির শেষ তারিখে তার মা স্ট্রোক করলে প্রথমে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরদিন তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার শরীরে হার্টের রোগ সহ নানাবিধ জটিল রোগ ধরা পড়ে। হাসপাতালে ১০ দিনের চিকিৎসায় এক লক্ষ টাকা খরচা হয় আইয়ুব আলীর। এ টাকা সে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার দেনা ও এনজিও থেকে ঋন নিয়ে মায়ের চিকিৎসার পিছনে ব্যয় করে।
মাকে বাঁচাতে ভ্যানচালক পুত্রের আকুতি
চলতি মাসের ১০ তারিখে তার মাকে বাড়িতে আনা হয়। ডাক্তাররা জানিয়েছেন তার মাকে দীর্ঘ মেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন।বর্তমানে তার মা ছায়রা বিবি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় বাড়িতে শয্যাশায়ী হয়ে ধুকছেন। প্রতিদিন প্রায় হাজার টাকার ঔষধের প্রয়োজন। এত টাকা সে জোগাড় করতে পারছে না বলে বিনা চিকিৎসায় রয়েছেন।
মাকে বাঁচাতে ভ্যানচালক পুত্রের আকুতি
মাকে বাঁচাতে ভ্যানচালক পুত্রের আকুতিবর্তমানে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা মাকে বাঁচানোর জন্য আইয়ুব আলী উদভ্রান্তের মত ছুটছে এখানে সেখানে। বাড়ির যা কিছু ছিল সব বিক্রি করে দিয়ে মায়ের চিকিৎসায় ব্যয় করেছে। ভ্যান গাড়িটিই আইয়ুবের এখন শেষ সম্বল। তাই মায়ের চিকিৎসার জন্য সে সমাজের সহৃদয়বান ও দানশীল ব্যক্তিদের সহানুভূতি কামনা করেছে। সাহায্য চেয়েছে স্থানীয় এমপি সহ মানবতার মা’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানাঃ
জনতা ব্যাংক কপিলমুনি শাখা হিসাব নং ০৮৯২৩৪০৬৩৭৪৮
বিকাশ/ নগদ নং- ০১৯২৭৯১২১৮৬

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here