মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের আইডি নম্বর দেওয়ার নির্দেশ
ডেস্ক রিপোর্ট: করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এবার বার্ষিক পরীক্ষা না হওয়ায় মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের নতুন ক্লাসে রোল নম্বরের পরিবর্তে আইডি নম্বর দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সোমবার সকল অঞ্চলের পরিচালক, উপ-পরিচালক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষ এবং উপজেলা/থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য ২০২১ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক পর্যায়ে (ষষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত) প্রাতিষ্ঠানিক বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
অ্যাসাইনমেন্টভিত্তিক মূল্যায়ন কার্যক্রম শেষ হয়েছে জানিয়ে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এ মূল্যায়নের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের রোল নম্বর প্রদান যথাযথ হবে কি না তা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
“এছাড়া রোল নম্বর প্রথা শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করে, যা শেষ পর্যন্ত গুণগত শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।”
মাউশি বলছে, গুণগত শিক্ষা অর্জনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মনোভাব নয় বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহযোগিতামূলক মানসিকতা তৈরি করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে রোল নম্বর প্রথার পরিবর্তে আইডি নম্বর ব্যবহার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে।
শিক্ষার্থীদের দৈবচয়ন পদ্ধতিতে অথবা শিক্ষার্থীর নামের বানানের ক্রমানুসারে (অ্যালফাবেট অর্ডার) আইডি নম্বর দেওয়া যেতে পারে বলে পরামর্শ দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এবার মাধ্যমিকের নতুন ক্লাসে ওঠা শিক্ষার্থীদের চিরাচরিত প্রথায় রোল নম্বর দেওয়া হবে না বলে গত ২৯ ডিসেম্বর জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেছিলেন, “রোল নম্বর নিয়ে একটা সমস্যা হয়। প্রত্যেক শ্রেণিতে যে রোল নম্বর থাকে, আমাদের রোল নম্বরের যে প্রথা রয়েছে, তার কারণে একটা অনভিপ্রেত প্রতিযোগিতা হয় এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক সময় যে সহযোগিতার মনোভাব, যেটি থাকার দরকার, অনেক সময় সেটির অভাব ঘটে রোল নম্বরের কারণে, সামনে আসতে চায় সবাই।
“আমরা চেষ্টা করছি ২০২১ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের শ্রেণির রোল নম্বরের এই বিষয়ের পরিবর্তে আইডি নম্বর প্রদান করতে, এতে পুরানো রোল নম্বর প্রথার বিলুপ্তি হবে এবং অনভিপ্রেত প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা সৎ প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি হবে বলে আশা করছি।”