মুখ বাঁধা,অজ্ঞান অবস্থায় কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার

নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলে চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান কমপ্লেক্সের পাশ থেকে ভিক্টোরিয়া কলেজের এক ছাত্রীকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার রাতে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের এক ছাত্রীকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করেছে, অজ্ঞান অবস্থায় মেয়েটিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।।

ভূক্তভোগী কনা বিশ্বাস সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অনার্স হিসাব বিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনি কালিয়া উপজেলার আরাজি বাঁশগ্রামের পুস্পেন বিশ্বাসের মেয়ে। তার মাঝে মাঝে জ্ঞান ফিরলেও আতংকিত হয়ে আবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে।

এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জিদার চৌধুরী বলেন, মেয়ের পুরোপুরি জ্ঞান আসলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তাকে শারীরিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে কিনা তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না।

মেয়েটির বাবা পুস্পেন বিশ্বাস জানান, কনা প্রতি দিনের মতো সকাল সাড়ে ৮টার বাড়ি থেকে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের হোস্টেলের পাশে কোচিং করতে যায়। সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে তার সাথে কথা হলে তাকে একটি নতুন মোবাইল সিম কিনতে বলি। এরপর তার সাথে আর কথা হয়নি। দুপুরে বাড়িতে না যাওয়ায় তাকে ফোন করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে একটা নম্বর থেকে আমার কাছে ফোন করে বলা হয় মেয়েকে পেতে হলে ৫ লাখ টাকা লাগবে। তখন আমি পুলিশের সাথে যোগাযোগ করি। পরে সন্ধ্যার পর এক মহিলা কণ্ঠে মেয়ের পুরোনো ফোন নম্বর থেকে আমাকে ফোন করে বলা হয় সুলতান কমপ্লেক্সের পাশ থেকে আপনার মেয়েকে নিয়ে যান। এ সময় সদর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ মেয়েকে উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে নড়াইল সদর থানার ওসি (তদন্ত) সুকান্ত সাহা বলেন, এ বিষয়টি জানার পরপরই সদর থানা পুলিশ সুলতান কমপ্লেক্সের শিশু স্বর্গ ভবনের পূর্ব পাশে একটি কচু ক্ষেত থেকে রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ওই মেয়েকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কাওকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

রবিবার সকালে এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান বাবু জানান, মেয়েটিকে হাসপাতালে আনার পর বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছিল, সকালে তার জ্ঞান এসেছে। হাসপাতালের মেডিকেল টিমের ডাক্তাররা তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here