১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

যশোরের মনিরামপুরে জমি দখলের চেষ্টা, মিথ্যা হয়রানির অভিযোগ

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪
29
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
সংগৃহিত
| ছবি : সংগৃহিত

ডেস্ক রিপোর্ট: যশোরের মণিরামপুরের সুবলকাটি গ্রামে বসত বাড়ি রক্ষা, মারধর ও মিথ্যা মামলা থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

বুধবার সকালে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শাহাজান ফরাস দাবি করেন তার দখলে থাকা ২৫ শতক জমি প্রতারণার মাধ্যমে একাধিক বার দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন সালাম গাজী ও কামাল গাজী। এর প্রেক্ষিতে তারা বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী শাহাজান ফরাস বলেন, গ্রামের নিজ জমির উপর বসত বাড়িতে তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করে আসছেন তিনি। গত দুই বছরআগে জানতে পারেন ২৫ শতক জমির এস.এ রেকর্ডিও মালিক
কালু গাজী ও জেলেখা বিবি। রেকর্ডিও মালিক কালু গাজী ও জেলেখা বিবির কাছ থেকে তার আপন বড় মামা সাত্তার সরদার উক্ত জমি ক্রয় করে নেন। যার দলিল নং ৫৯২০ উক্ত জমির আর এস রেকর্ড ভুল হওয়ার কারণে তিনি দেওয়ানি মামলা করেনি। যার মামলা নং ২৭৫/২৩. এস এ রেকর্ডিও কালুগাজী ও জেলাখা বিবি ঐ জমি বিক্রয় করা সত্ত্বেও পুনরায় তার ছেলে সালাম গাজী ও কালাম গাজী উক্ত জমি দাবী করেন। রেকর্ড বুনিয়াদে কিছু কুচক্রী মহলের পরামর্শ শুনে সালাম গাজী ও কালাম গাজি এ মামলা শেষ না হলেও ভাড়াটিয়া লোকজন, মস্তান নিয়ে জমি দখল দেওয়ার চেষ্টা চালায়।

এমনকি গত মাসের ৩১ তারিখে ১টি মাইক্রো, নসিমন ও ভ্যান যোগে ৩০ থেকে ৪০ জন পুরুষ ও মহিলা অতর্কিতভাবে তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। বাড়ীতে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময়ে তাদের কাছে থাকা গাছীদা, চাইনিজ কুড়াল, রামদা, লোহার রড ও লাঠিসুটা ছিল এবং তারা তার স্ত্রী ও মেয়েদের উপর হামলা চালায় ও অতর্কিত ভাবে মারপিট করতে থাকে এবং ঘর বাড়ী ভাংচুর করে। বাড়ির মধ্যে ফলজ ও বনজ গাছ কেটে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেন। তাদের নারকীয় তান্ডব চালালে পরিবারের লোক জন ভয়ে চিৎকার করতে থাকে তখন সে বাড়ির পাশের দোকানে ছিলো। তৎক্ষানিক সে ছুটে আসে বাড়ির দিকে তখন তারা অতর্কিত হামলা চালায় ও মারধর করে।

প্রতিবেশীরা আসলে তাদেরকেও মারধর করে এবং হাতে থাকা বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে প্রতিবেশী সাগর, জনি, মারুফসহ ৪ থেকে ৫ জন গুরুতর আহত হয়। প্রতিপক্ষ আজিত, হামিদুর, আমিনুর, আনার, রুম্মান, সালাম, মজিবর রহমান, কালামসহ আরোও অজ্ঞাতনামা ৪ থেকে ৫ জনের নামে মামলা করা হয়। প্রতিপক্ষের একজন ঘটনার ১২ থেকে ১৫ দিন পর স্ট্রোকজনিত কারণে মারা যায়। তাই তারা তাদেরকে মিথ্যা ভাবে দায়ী করার জন্য হত্যা মামলা দেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। এমন মিথ্যা মামলায় প্রতিবাদ জানাতে ও প্রশাসনের
হস্তক্ষেপ কামনায় সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram