যশোরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে স্বামী
স্টাফ রিপোটার: যশোরের ঝিকরগাছায় পুতুল দাস (১৭) নামে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকালে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
বুধবার রাতে ঝিকরগাছা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কাউনিয়া দাসপাড়ার সুইপার পল্লীতে স্বামী প্রদীপ দাসের বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ হন। পরিবারের অভিযোগ, পুতুলকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে স্বামী প্রদীপ দাস।
তবে প্রদীপের দাবি, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার একপর্যায়ে পুতুল নিজেই গায়ে আগুন দিয়েছেন। ঠেকাতে গিয়ে তিনিও দগ্ধ হয়েছেন।
ঘটনার পুলিশ তাদের দুজনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পুতুল দাসের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানান, মঙ্গলবার রাতে প্রদীপ ও তার স্ত্রী পুতুলের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। গভীর রাতে তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা বাইরে এসে দেখেন ঘরের মধ্যে আগুন জ্বলছে। এ সময় প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে ঝিকরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। ঝগড়ার কারণে প্রদীপ তার স্ত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে বলে অভিযোগ প্রতিবেশীদের।
যশোর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আহম্মেদ তারেক শামস চৌধুরী বলেন, ভোররাতে দগ্ধ দম্পতিকে হাসপাতালে আনা হয়। পুতুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
এছাড়া আহত প্রদীপের দুটি হাত, চোয়াল ও মাথার চুল পুড়ে গেছে। তাকে সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আহত প্রদীপ দাবি করেছেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে পুতুলের সাথে তার ঝগড়া হয়। স্ত্রী নিজেই নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। এতে তার দু’হাত পুড়ে যায়। পরে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করে।
ঝিকরগাছা থানা পুলিশের ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্বামীর দেয়া আগুনে পুতুল দাসের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। নিহতের সৎকার শেষে পরিবার অভিযোগ দেবে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী প্রদীপ পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন আছে।