২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

যশোরে নিবন্ধনহীন নার্স নির্মূলে অভিযান

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কন্ঠ
আপডেট :
আগস্ট ২৭, ২০২৪
14
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

ডেস্ক রিপোর্টঃ যশোর শহরের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা সিভিল সার্জন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নার্সিং ও মিডিওয়াইফের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপির প্রেক্ষিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। মূলত বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে অনিবন্ধিত নার্স ও মিডওয়াইফ নির্মূলে স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যত কোনো পদক্ষেপ না থাকার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ওই সব নার্স ও মিডিওয়াইফ দমনের দাবি করে আসছিলেন দীর্ঘদিন থেকে।

মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্য বিভাগ ও শিক্ষার্থীদের একটি টিম শহরের দুটি ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করেন। তারা প্রথমেই শহরের দড়াটানা হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। সেখানে দায়িত্বরত ৩ জন ডিপ্লোমা নার্স কর্মরত থাকলেও তাদের একজনেরও কাগজপত্র সঠিক পাওয়া যায়নি। এ সময় স্বাস্থ্য বিভাগ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পর্যাপ্ত ডিপ্লোমা নার্স নিয়োগের নির্দেশনা দেন। এ নির্দেশ মানা না হলে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারিও দেয়া হয়।

পরে একতা হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক কমপ্লেক্স (প্রাঃ) লিঃ এ অভিযান পরিচালনা করা হলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ২২ জন নার্স আছে দাবি করেন। তবে এদের মধ্যে ৬ জন ডিপ্লোমা নার্স বলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানান। এ প্রতিষ্ঠানেও আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পর্যাপ্ত ডিপ্লোমা নার্স নিয়োগ না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহমুদুল হাসান। অভিযান পরিচালনাকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিক, মেডিকেল অফিসার (সিএস) ডা. রেহেনেওয়াজ ও নার্সিং ও মিডিওয়াইড কলেজের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের একটি টিম। তবে অভিযান পরিচালনার সময় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়নি।

যশোর নার্সিং ও মিডিওফাইড কলেজের শিক্ষার্থী বিপ্লব আলী, সুরাইয়া বিনতে ও হাসিব হোসেন বলেন, সিভিল সার্জন অফিসে স্মারকলিপি দেয়ার পর তারা অভিযানে এসেছেন। তবে অভিযানে আসার খবরটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ আগে থেকে জেনে গেছেন। যে কারণে এই অভিযানে তারা খুশি নন। তাদের দাবি ভুয়া নার্স বাদ দিয়ে নিবন্ধনকৃত নার্সদের চাকরি দিতে হবে। তাছাড়া প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে সরকারি নিয়ম মেনে ১০ টা বেডের জন্য ৬ জন নার্স নিয়োগ দিতে হবে। যাকে তাকে ধরে এনে নার্সের চাকরি দেয়ার কারণে রোগীর ভুল চিকিৎসা হচ্ছে। তাই ভুয়া নার্স নির্মূলে কঠোর অভিযান অব্যহত রাখতে হবে।

একতা হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সের সহকারী ব্যবস্থাপক আল হেলাল বলেন, সিভিল সার্জন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা এসেছিলেন। আমাদের এখানে যে পরিমাণ ডিপ্লোমা নার্স থাকার কথা সেটা নেই। তারা আমাদের ১৫ দিন সময় দিয়েছেন পর্যাপ্ত নার্স নিয়োগ করার জন্য।

সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহমুদুল হাসান বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নার্সিং ও মিডিওফাই কলেজের শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি ও দাবির প্রেক্ষিতে ভুয়া নার্স নির্মূলে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে। প্রত্যেক ক্লিনিকে পর্যাপ্ত ডিপ্লোমা নার্স নিশ্চিত না হওয়া পর্যাপ্ত অভিযান অব্যহত থাকবে। যাদের পর্যাপ্ত ডিপ্লোমা নার্স নাই তাদের ১৫ দিন সময় দেয়া হয়েছে। এই ১৫ দিনের ভিতর পর্যাপ্ত ডিপ্লোমা নার্সের ব্যবস্থা না করতে পারলে ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ২২ আগস্ট শিক্ষার্থীরা ভুয়া নার্স দমনে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও সিভিল সার্জন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। ওই সময় সিভিল সার্জন তাদেরকে ভুয়া নার্স দমনে অভিযানের আশ্বাস দেন। তবে এর আগে কেন নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে এমন দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এবং বেসরকারি ক্লিনিক সঠিক নিয়ম মেনে চালু না করলেও স্বাস্থ্য বিভাগ কেন তা চালানোর অনুমতি দিয়েছে এই সব বিষয় নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram