যশোরে ভূয়া নার্স ও মিডওয়াইফ নির্মূলে অভিযানের দাবি
ডেস্ক রিপোর্ট:যশোরে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অনিবন্ধিত, ভূয়া নার্স ও মিডওয়াইফ নির্মূল অভিযান চালানোর দাবিতে জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে সচেতন নার্স ও মিডওয়াইফ সমাজ।
বৃহস্পতিবার সকালে নার্স ও মিডওয়াইফতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা যশোর জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে মানববন্ধন শেষে সিভিল সার্জন কর্মকর্তার অফিসে উপস্থিতি হয়ে এই স্মারক লিপি দেন।
স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, বর্তমান রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সমাজ স্বাস্থসেবা খাতে নার্সিং সেবা খাতের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে।
বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন ২০১৬ অনুযায়ী পেশাগত নিবন্ধন ব্যতীত কোন ব্যক্তি নার্সিং সেবা বা নিজেকে নার্স হিসেবে দাবি করতে পারবেনা। যদি করে তবে তা শাস্তি মূলক অপরাধ। এখানে আইন থাকলেও তার কোনো প্রয়োগ হয় না। অথচ সকল বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিক গুলো ভূয়া নিবন্ধনহীন ব্যক্তিরা অনায়াসে নার্স অথবা মিডওয়াইফ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সময় এসব হাসপাতালের ভূয়া নার্স বা মিডওয়াইফদের নানা অপকর্মের কারণে নিবন্ধন প্রাপ্ত নার্স বা মিডওয়াইফদের সামাজিকভাবে হেয় হতে হয়। এছাড়াও এদের কে হাসপাতালের মালিকরা নাম মাত্র বেতনে নিয়োগ দেন। ফলে বিএনএমসি কর্তৃক নিবন্ধিত নার্স বা মিডওয়াইফরা বেসরকারি হাসপাতালে যথাযথ বেতন ও সম্মান পাচ্ছেন না। হাসপাতাল মালিকগন রোগীর থেকে টাকা নিয়েও অদক্ষ ও ভূয়া নার্স বা মিডওয়াইফ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সেবার মাধ্যমে জনগনের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্যসেবা খাতে নার্সিং সেবার সংস্কারের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন ২০১৬ যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে ভূয়া নার্স বা মিডওয়াইফ নির্মূলে অভিযান পরিচালনা করার জন্য সিভিল সার্জন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করেন তারা।
এসময় নার্সিং ও মিডওয়াইফারির শিক্ষার্থীরা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, উদ্ধর্তন মহল ভূয়া নার্স বা মিডওয়াইফ নির্মূলে অভিযান পরিচালন করে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে ছাত্র সমাজ এ দায়িত্ব নিজ কাধে তুলে নিতে বাধ্য থাকবে।