২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

যশোরে মোটা চাল নিয়ে সিন্ডিকেটের কারসাজি

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কন্ঠ
আপডেট :
সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪
14
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

ডেস্ক রিপোর্ট: যশোরে চালের বাজার সিন্ডিকেটের কবলে। দাম বেড়েছে সব ধরনের চালের। মোটা চালের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ফায়দা লুটছে চক্রটি। চড়া দামে চাল কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ভোক্তা। বাজার তদারকিতে নেই কার্যকর পদক্ষেপ। এদিকে, দেশে বন্যা ও জলাবদ্ধতা ধানের আবাদ ব্যাহত হওয়ার শংকা রয়েছে। এতে ধান উৎপাদনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ফলে বাজারে চালের দাম আরও বৃদ্ধির আশংকা তৈরি হয়েছে।

যশোরের চালের বাজার ঘুরে জানা গেছে, যশোর শহরে কেন্দ্রীয় চালের যোগানদাতা এলিট রাইস নামে একটি প্রতিষ্ঠান। মূলত এই প্রতিষ্ঠান থেকে চাল ক্রয় করে বিক্রেতারা পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে থাকেন।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত মাসের তুলনায় চলতি মাসে সব ধরনের চালে কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে। বাজারে মোটা চালের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। ফলে মিল থেকে মোটা চাল কম পাচ্ছেন পাইকার ব্যবসায়ীরা। যার প্রভাবে বাজারে যেমন মোটা চালের সরবরাহ কমেছে তেমনি দামও বেড়েছে।

পাইকারি বাজারে এক কেজির প্যাকেট এ্যারোমেটিক ও এলিট এ্যারোমেটিক চাল বিক্রি হচ্ছে ১১২ টাকা দরে। এছাড়া প্রতিকেজি আতপ চিনি গুড়া ১০৪ টাকা, সোনালী সুগন্ধি ৬৯ টাকা, বোল্ডার ৬৫ টাকা, মোটাআতপ ৪৪ টাকা ৮০ পয়সা, সোনালী বাসমতি ৬৬ টাকা ৮০ পয়সা, স্বর্ণা ৫১ টাকা ৮০ পয়সা, সোনালী মিনিকেট ৬২ টাকা ৮০ পয়সা, সোনালী কাজললতা ৫৭ টাকা ২০ পয়সা, সোনালী আঠাশ ৫৫ টাকা ৮০ পয়সা। সিদ্ধ চালের মধ্যে বাংলামতি ৮৬ টাকা ৮০ পয়সা, মিনিকেট ৬৪ টাকা ৮০ পয়সা, কাজললতা ৬২ টাকা ৮০ পয়সা, আঠাশ ৫৮ টাকা ৮০ পয়সা। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি স্বর্ণ ও রত্না ৫২ টাকা, আঁঠাশ ৬০ টাকা, মিনিকেট ৬৬ টাকা, বাশমতি ৮৫ টাকা, তেষট্টি চাল ৭০ টাকা।

আর. জি. রাইস নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক অধীর অধিকারী বলেন, গত মাসের তুলনায় এ মাসে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ১ টাকা বেড়েছে। মোকাম থেকে যে দামে কিনি তার থেকে ২ টাকা লাভে বিক্রি করতে হয়। এখনও খুচরা বাজারে চাউলের সংকট দেখা যায়নি। সামনে কি হবে বলা যাচ্ছে না।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অন্য এক ব্যবসায়ী বলেন, যশোরে মুল্লুক চাঁদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এলিট রাইস একচেটিয়া ব্যবসা করে। শহরে একটাই চালের মোকাম। সে যে দামে চাল ছাড়বে তার উপর খুচরা বাজার নির্ভর করবে।

খুচরা ক্রেতা নূর ইসলাম বলেন, চালের দাম বেড়েছে। বাজারে মোটা চাল পাওয়া যাচ্ছে না। মোটা চাল একটু কম দামে কেনা যায়। সেটাও পাওয়া যাচ্ছে না।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এলিট রাইসের এক কর্মচারী বলেন, মোটা চাল মিল মালিকরা দিচ্ছে না। বাজারে মোটা চালের সংকট। চালের দাম খুব বেশি বাড়েনি। যথেষ্ট মজুত আছে। আশা করা যায় চালের সংকট হবে না।

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram