রক্তদান করে নারীর জীবন বাঁচালেন যুবক বিপ্লব
শামিম হোসেন, কুয়াদাঃ একজন ব্যক্তির প্রয়োজনে রক্ত দেয়া একটি মহৎ কাজ। সচেতনতার অভাবে এবং কিছু ভুল ধারণার কারণে আমরা অনেকেই রক্তদানের মতো মহৎ কাজ এবং দুর্লভ সুযোগ থেকে নিজেদের বঞ্চিত করছি প্রতিনিয়ত। অথচ সুস্থ্য প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ হিসেবে আমরা প্রতি ১২০ দিন পর কোন রকম শারীরিক ক্ষতি ছাড়াই রক্ত দিয়ে একজন মানুষের জীবন বাঁচাতে ভূমিকা রাখতে পারি। নিয়মিত ব্যবধানে ভেঙ্গে যাওয়া রক্তকণিকা আমাদের শরীরে কোন কাজে আসে না অথচ এই রক্ত অন্যকে দিলে তার জন্য তা হতে পারে অমূল্য। প্রসবের সময় রক্তের প্রয়োজন হয় অসহায় একটি পরিবারের। কিন্তু হাসপাতালে এবি পজেটিভ’ গ্রুপের রক্ত না থাকায় বিপাকে পড়েন স্বজনরা। রক্তের অভাবে সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়েন প্রসূতি মা ও সন্তান । মানুষ মানুষের জন্য। একজন রোগীর জীবন বাঁচাতে নিজের রক্ত দান করে কথাগুলোর বাস্তব দৃষ্টান্ত দেখালেন যশোরের পুলিশ লাইনে ইউরো জেন্স পার্লার এন্ড সেলুনের মালিক রাসেদ হোসেন ও বিপ্লব আহমেদ নামে এক যুবক
একজন সাধারণ যুবক হয়েও শত ব্যস্থতার মধ্যেও রক্তশূন্য এক নারীকে রক্ত দিয়ে এ মহান কাজের খবরে সর্বত্র প্রশংসার ঝড় বইছে।বৃস্পতিবার ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ) কুয়াদা মুন হসপিটাল নামে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে তিনি কেশবপুর উপজেলার মির্জানগর গ্রামের মোঃ আব্দুর জব্বারের স্ত্রীর জীবন বাঁচাতে ওই রক্তদান করেন।
সিজারিয়ান রুগি রক্তশূর্নতায় তার রক্তের গ্রুপ এ‘বি পজিটিভ’ হওয়ায় তার জন্য রক্তদাতা পাওয়া অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে। ওই রক্তশূন্য রোগীর সংবাদটি যশোর পুলিশ লাইনের ইউরো জেন্স পার্লার এন্ড সেলুনের মালিক রাসেদ হোসেনের কাছে মোবাইল ফোনে একজন সাংবাদিক জানান রাসেদ হোসেন তাৎক্ষণিক বিপ্লবকে জানান । তার কাছ থেকে তিনি শুনতে পেরে ওই প্রসূতি মাকে রক্ত দিতে আগ্রহী হন।ওই দিনই কুয়াদায় দ্রুত মুন হসপিটালে গিয়ে নিজের শরীর থেকে এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে ওই নারী ও তার নবজতক সন্তানের জীবন বাঁচান। এমন মহান কাজে রক্তদানে মানুষ এগিয়ে আসবেন বলে অনেকেই মনে করেন।