রাত পোহালেই যশোর সদর উপজেলায় ভোট
স্টাফ রিপোর্টার (যশোর) আজকের রাত পোহালেই সদর উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই উপনির্বাচনে নৌকা ও ধানের শীর্ষের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বি করছেন। উপজেলার সাড়ে পাঁচ লক্ষাধিক ভোটার তাদের ভোটারাধিকার প্রয়োগ করবেন।
রবিবার শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত ভোটার আকর্ষণে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন নির্বাচনে অংশ নেয়া দুই প্রার্থীই। এদিনও সকাল থেকে মধ্যেরাত পর্যন্ত প্রচারণায় মুখর ছিলো সদর উপজেলা শহর থেকে গ্রামের অলিগলি।
এদিকে, রবিবার মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৯ থেকে বিকাল ৫ পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে। এজন্য ১৭৫টি কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় পাঁচ লাখ ৬০ হাজার ৫২৪ জন ভোটার রয়েছেন। যারা ১৭৫টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন। ভোট পরিচালনার জন্য ১৭৫ জন প্রিজাইটিং অফিসার ও এক হাজার ১৩ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত থাকছে এবারের নির্বাচনে। দুইজন জুডিসিয়াল ও ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। দায়িত্বে থাকবেন এক হাজার ৫০০ পুলিশ সদস্য ও ছয় প্লাটুন বিজিবি। এছাড়া ১৮টি মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের ছয়টি নির্বাচনের মাঠে সার্বক্ষণিক কাজ করবে।
আধুনিক ও স্মার্ট উপজেলার গড়ার অঙ্গীকার করে নৌকায় ভোট চেয়েছেন আওয়ামী লীগের নুরজাহান ইসলাম নীরা। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে জেলা যুব শ্রমিকলীগের উদ্যোগে রবিবার শহরের বকুলতলায় পথসভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর যশোর সদর উপজেলাসহ দেশের ৮টি উপজেলার চেয়ারম্যান ও দুইটি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের শূন্যপদে নির্বাচনে চারজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের নুরজাহান ইসলাম নীরা ও বিএনপির নূর উন নবী ছাড়াও মনোনয়নপত্র স্বতন্ত্রভাবে জমা দিয়েছিলেন যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ ও বিএনপির সিরাজুল ইসলাম। এর মধ্যে যাচাই-বাচাইকালে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহিত কুমার নাথের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরজাহান ইসলাম নীরা ও বিএনপির ধানের শীর্ষের প্রতীকের প্রার্থী নূর উন নবীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।