লোহাগড়া বিএনপির কমিটিতে ঠাঁই পেতে জোর তৎপরতা
রাশেদ জামান , লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি: লোহাগড়া উপজেলায় বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতা-কর্মীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। মনোনয়নপত্র দাখিল করেই পদ প্রত্যাশী নেতারা তাদের সমর্থকদের নিয়ে ভোটারদের বাড়ি গিয়ে কুশল ও শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন, চাইছেন ভোট। জমে উঠেছে উপজেলা বিএনপির নির্বাচন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলায় বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এক যুগ আগে- ২০০৮ সালে। ওই সম্মেলনে লাহুড়িয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জমাদ্দার সভাপতি এবং নলদী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
সেই কমিটির মেয়াদ বহু আগে শেষ হলেও নতুন কমিটি গঠন করতে পারেনি দলটি। এতে করে দলে গ্রুপিং চাঙ্গা হয়ে ওঠে। এ ছাড়া দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়। নেতৃত্বের দ্বন্ধ, গ্রুপিং, উপদলীয় কোন্দল, পলায়নপর মনোবৃত্তি, নাশকতার মামলাসহ নানা কারণে এই উপজেলায় বিএনপি মাথা সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি। তবে, আহ্বায়ক কমিটি গড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে দল ও অঙ্গ সংগঠনগুলোতে চাঙ্গা ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আগামী ৬ নভেম্বর এই কমিটি গঠনে নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়েছে।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি স ম ওয়াহিদুজ্জামান মিলু বলেন, আগামী ৬ নভেম্বর লোহাগড়া শহরের নিরিবিলি পিকনিক স্পটে সকাল দশটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ করা হবে। এতে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন ৬১ জন কাউন্সিলর। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এবার আহ্বায়ক পদে নির্বাচন করছেন মো. নজরুল ইসলাম জমাদ্দার, আবু হায়াত সাবু, রবিউল ইসলাম পলাশ এবং শরীফ কাসাদুদ্দোজা কাফি।
সদস্য সচিব পদে লড়ছেন কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিম ও টিপু সুলতান।
প্রার্থীরা পৃথকভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য গোপনে দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, যাচ্ছেন ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে। আহ্বায়ক কমিটির অন্য পদে আসার জন্য দলের মধ্যম সারির নেতারাও সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
কথা হয় বিএনপি নেতা মিলু শরীফ, মো. মুসা মোল্যা, সাইফুল্লাহ মামুন প্রমুখের সঙ্গে। তারা জানান, দলে নেতৃত্বের কোন্দলের কারণে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আহ্বায়ক কমিটি গঠনের জন্য এই নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমে স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্ন, ত্যাগী নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে- এটাই তাদের প্রত্যাশা।