যশোরের ১৫৫৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহিদ মিনার

যশোর প্রতিনিধি: যশোর জেলার ২ হাজার ২৩৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহিদ মিনার আছে মাত্র ৬৭৮টি । এখনও শহিদ মিনার ছাড়া চলছে ১ হাজার ৫শ’ ৫৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নেই সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণের পরামর্শ দিচ্ছে শিক্ষা অফিস।
জেলা সহকারি অফিসার আব্বাস উদ্দীন জানান, যশোরের ৯শ’ ৪৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ৫শ’ ২৩টিতে। আছে ৪২১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, জেলার ১ হাজার ২৮৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদমিনার আছে মাত্র ২৫৭টি বিদ্যালয়ে। নেই ১ হাজার ৩২টি বিদ্যালয়ে।
শহিদ মিনার নেই ১৫৫৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
তবে ৮ উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ২৫০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার আছে ২১টি,
শার্শায় ১২৫টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদমিনার আছে ১৮টি,
চৌগাছায় ১৩৯টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদমিনার আছে ১০টি,
ঝিকরগাছায় ১৩১টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার আছে ২৫টি,
বাঘারপাড়ায় ১০২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার আছে ১৬টি,
মণিরামপুরে ২৬৭টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদমিনার আছে ৯৭টি,
অভয়নগরে ১১৭টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদমিনার আছে ৫৮টি,
কেশবপুরে ১৫৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৪টিতে শহিদমিনার আছে।
আরও পড়ুন>>>যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে অগ্নিকাণ্ডে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
জেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন বলেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন ফান্ড নেই। এ কারনে শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি। জনউদ্যোগে শহিদ মিনার নির্মাণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার এএসএম আব্দুল খালেক জানান, যেসব মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে শহিদ মিনার নেই তাদেরকে নির্মাণ করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শাম্মী ইসলাম বলেছেন প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে হবে। কোন বিদ্যালয়ে যদি শহিদ মিনার না থাকে তারা পাশের বিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে ফুল দেবে। যেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে সেহেতু শুধু শিক্ষকরা নিজ প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা করবে।