১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

যশোরের চৌগাছা স্কুলের গাছ কেটে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২১
142
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ বিক্রি
গাছ কাটার পর মাটি ভরাট করে লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রাখা গাছের শিকড় | ছবি : শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ বিক্রি

চৌগাছা প্রতিনিধি যশোর: করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগে কাউকে না জানিয়ে যশোরের চৌগাছা উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের এসকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭ টি গাছ বড় বড় মেহগনি গাছ বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।

প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যোগসাজসে গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

এ অভিযোগটি করেছেন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য জাহাঙ্গীর আলী।

আরও পড়ুন>>>যশোরে বিদেশী হাসপাখিসহ তিন পাচারকারী আটক

তিনি জানান, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তিনি স্কুলের সাথে আছেন। স্কুলের মাঠে ২৫ বছরের পুরানো মেহগনি গাছ লাগানো ছিল। করোনাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা স্কুলে তেমন কেউ যান না। এ সুযোগ ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যোগসাজসে ৭ টি বড় বড় মেহগনি গাছ বিক্রি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন>>>ভারতে ‘জনস্বার্থে’ ৪ বছরে ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছে ৪০০ বার

গাছ কাটার পর মাটি ভরাট করে লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। যাতে মানুষের নজরে না আসে। গাছগুলোর মূল্য তিন লাখ টাকার কাছাকাছি হবে। টাকা ফান্ডে জমা দেয়া তো দূরের কথা তারা টাকার কোন হিসাবও দিচ্ছেন না। টাকা আত্মসাত করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সোবহানুল আলম বাবু জানান, গাছ কাটার ঘটনাটি সঠিক। সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক নিয়মনীতি না মেনেই গোপনে গাছ বিক্রি করেছেন। ম্যানেজিং কমিটির কোন সদস্যকেই জানানো হয়নি। টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে গ্রামের স্কুলটি ধ্বংস হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন>>>যশোরে অজ্ঞাত পুরুষের মরদেহ উদ্ধার

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনি কোন গুরুত্বই দেননি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিলে প্রতিষ্ঠানটি বেঁচে যাবে।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ বলেন, স্কুলের গাছ কাটা হয়নি। যারা অভিযোগ করছেন তারাই বিষয়টি সর্ম্পকে ভাল বলতে পারবেন।

আরও পড়ুন>>>কাশিমপুরে কারাবিধি লঙ্ঘনে সিনিয়র জেল সুপার-জেলারসহ ১১ জন বরখাস্ত

প্রধান শিক্ষক হানিফ আলী বলেন, আম্ফান ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছ কাটা হয়েছে। এছাড়া কোন গাছ কাটা হয়নি। অভিযোগটি সত্য নয়।

চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, এ ধরণের কোন অভিযোগ তার কাছে কেউ করেননি। অভিযোগ পেলে আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram